ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে মিষ্টি কুমড়ার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ফরিদপুরে মিষ্টি কুমড়ার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ফরিদপুর প্রতিনিধি:  ফরিদপুরের মধুখালীতে মরিচ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাড়তি সার ও কিটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে বিষমুক্ত মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন ভালো হয়েছে। আবার ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে বেশ হাসি ফুটেছে।

জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাষিরা মরিচ ক্ষেতের মধ্যেই সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেন। কুমড়ার বীজ লাগাতে কোনো প্রকার চাষাবাদ করতে হয়নি। বাড়তি সার ও কিটনাশক ছাড়াই বেড়ে ওঠে মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত।

উপজেলার মেকচামী এলাকার চাষি উত্তম রায় বলেন, মাত্র দুই মাসের মাথায় চাষিরা মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে শুরু করেছেন। জমিতে কুমড়ার মাচা হিসেবে ব্যবহার হয় মরিচ গাছ।

এতে চাষিদের বাড়তি খরচ করে মাচা দেওয়ারও প্রয়োজন হয়নি। মরিচ গাছের মাচার নিচে ঝুলে থাকে মিষ্টি কুমড়া। উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জেলাতেও পাঠানো হচ্ছে।

আজিজ মোল্লা,ফয়সাল হোসেন, রঞ্জন বিশ্বাসসহ একাধিক চাষি জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা। আর কুমড়া বিক্রয় হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। চাষিরা এখন কুমড়া বাজারজাতকরণে ব্যস্ত। ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরাও বেশ খুশি।

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা কৃষি অফিসার আলভীর রহমান বলেন, উপজেলায় এবছর ২ হাজার ৪ শত ৩০ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ হয়েছে।

যা গত বছরের তুলনায় ৩০ হেক্টর বেশি। এ অঞ্চললের মাটি মিষ্টি কুমড়া চাষের উপযোগী হওয়ায় নিরাপদ প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কুমড়া চাষে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

ফরিদপুরে মিষ্টি কুমড়ার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় ০১:০৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

ফরিদপুর প্রতিনিধি:  ফরিদপুরের মধুখালীতে মরিচ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাড়তি সার ও কিটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে বিষমুক্ত মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন ভালো হয়েছে। আবার ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে বেশ হাসি ফুটেছে।

জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাষিরা মরিচ ক্ষেতের মধ্যেই সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেন। কুমড়ার বীজ লাগাতে কোনো প্রকার চাষাবাদ করতে হয়নি। বাড়তি সার ও কিটনাশক ছাড়াই বেড়ে ওঠে মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত।

উপজেলার মেকচামী এলাকার চাষি উত্তম রায় বলেন, মাত্র দুই মাসের মাথায় চাষিরা মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে শুরু করেছেন। জমিতে কুমড়ার মাচা হিসেবে ব্যবহার হয় মরিচ গাছ।

এতে চাষিদের বাড়তি খরচ করে মাচা দেওয়ারও প্রয়োজন হয়নি। মরিচ গাছের মাচার নিচে ঝুলে থাকে মিষ্টি কুমড়া। উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জেলাতেও পাঠানো হচ্ছে।

আজিজ মোল্লা,ফয়সাল হোসেন, রঞ্জন বিশ্বাসসহ একাধিক চাষি জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা। আর কুমড়া বিক্রয় হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। চাষিরা এখন কুমড়া বাজারজাতকরণে ব্যস্ত। ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরাও বেশ খুশি।

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা কৃষি অফিসার আলভীর রহমান বলেন, উপজেলায় এবছর ২ হাজার ৪ শত ৩০ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ হয়েছে।

যা গত বছরের তুলনায় ৩০ হেক্টর বেশি। এ অঞ্চললের মাটি মিষ্টি কুমড়া চাষের উপযোগী হওয়ায় নিরাপদ প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কুমড়া চাষে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471