ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ, আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধরা

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ:  নওগাঁয় শীতজনিত কারণে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

কয়েকদিন থেকেই সন্ধ্যার পর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হাড় কাঁপানো শীতের কারণে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ।

কর্মজীবী মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। বেলা ১১টার পর সূর্যের দেখা মিললেও তীব্রতা নেই। বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে বুধবার (৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ছিল- ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শিকারপুর ইউনিয়নের কলকালিদাস গ্রামের রুমা খাতুন বলেন, তার এক বছরের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা শুরু হয়।

এরপর কয়েকবার বমিও করে। পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। রাতেই সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এখন অনেকটাই সুস্থ।

সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ মৌসুমি বলেন, শীতের কারণে হঠাৎ করেই শিশু রোগীর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জনবল সংকটের কারণে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে পর্যান্ত পরিমাণ স্যালাইন ও ঔষধ সরবরাহ করা আছে।

নওগাঁ সদর হাসপাতাল ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যানুসারে, গত এক সপ্তাহে নওগাঁ সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮৬ জন, নিউমোনিয়ায় আটজন এবং জ্বর-সর্দি-কার্শি নিয়ে ২৫ জন। এছাড়া বয়স্ক ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি হয়েছেন তিনজন।

এছাড়া জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক সপ্তাহে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৩৫ জন, নিউমোনিয়ায় ২৫ জন এবং অন্যান্য রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন।

নওগাঁ জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার যে প্রবণতা আতঙ্কিত হওয়ার মতো এখনো কিছু হয়নি।

সংখ্যা যদিও বেড়েছে তবে এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। যথেষ্ট জনবল ও পর্যাপ্ত ওষুধ মুজদ আছে। বয়স্ক ও শিশুদের যেন কোনোভাবে ঠান্ডা না লাগে সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

নওগাঁয় বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ, আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধরা

আপডেট সময় ০১:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ:  নওগাঁয় শীতজনিত কারণে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

কয়েকদিন থেকেই সন্ধ্যার পর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হাড় কাঁপানো শীতের কারণে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ।

কর্মজীবী মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। বেলা ১১টার পর সূর্যের দেখা মিললেও তীব্রতা নেই। বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে বুধবার (৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ছিল- ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শিকারপুর ইউনিয়নের কলকালিদাস গ্রামের রুমা খাতুন বলেন, তার এক বছরের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা শুরু হয়।

এরপর কয়েকবার বমিও করে। পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। রাতেই সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এখন অনেকটাই সুস্থ।

সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ মৌসুমি বলেন, শীতের কারণে হঠাৎ করেই শিশু রোগীর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জনবল সংকটের কারণে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে পর্যান্ত পরিমাণ স্যালাইন ও ঔষধ সরবরাহ করা আছে।

নওগাঁ সদর হাসপাতাল ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যানুসারে, গত এক সপ্তাহে নওগাঁ সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮৬ জন, নিউমোনিয়ায় আটজন এবং জ্বর-সর্দি-কার্শি নিয়ে ২৫ জন। এছাড়া বয়স্ক ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি হয়েছেন তিনজন।

এছাড়া জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক সপ্তাহে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৩৫ জন, নিউমোনিয়ায় ২৫ জন এবং অন্যান্য রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন।

নওগাঁ জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার যে প্রবণতা আতঙ্কিত হওয়ার মতো এখনো কিছু হয়নি।

সংখ্যা যদিও বেড়েছে তবে এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। যথেষ্ট জনবল ও পর্যাপ্ত ওষুধ মুজদ আছে। বয়স্ক ও শিশুদের যেন কোনোভাবে ঠান্ডা না লাগে সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471