ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারতের সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে

অর্থনীতি ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারতের সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে।এর মাধ্যমে খুলবে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার।

আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।রামগড়ের ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেতু কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে রামগড় স্থলবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ভারত সরকারে অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি চালু হলে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হলে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধন করবেন।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

খাগড়াছড়ির রামগড়ে  মহামুনি এলাকায় প্রায় ২৮৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণের ব্যয়ভার বহন করছে ভারত সরকার। ৪১২ মিটার দৈঘ্যের সেতুটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৮২ দশমিক ৫৭ কোটি রুপি।

নির্মাণকাজ শেষ হলে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবব্রুম মহকুমায় সংযোগ স্থাপিত হবে। চালু হবে স্থলবন্দর।

সেতু নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলভমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড এবং ভারতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দানেশ চন্দ্র আগরওয়াল ইনফ্রাকন প্রাইভেট লিমিটেড।

স্থলবন্দর চালু হলে পশ্চাৎপদ পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীর ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী স্থানীরা। এখানকার মানুষের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। পর্যটন শিল্পও আরও গতীশীল হয়ে উঠবে।

রামগড়ের স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন লাভলু জানান, ‘মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে আশ্রয়, খাদ্য, বস্ত্র ও যুদ্ধে সহায়তা দিয়ে ত্রিপুরাবাসীর সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক হয়।

এখন ফেনী নদীর ওপর ভারত সরকারের নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ হবে ত্রিপুরাবাসীর সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। আমরা আশা করি, রামগড়-সাব্রুম একটি পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হবে। এতে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে। ’

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, সেতুর নির্মাণ শেষ হলেই রামগড় স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

ইতোমধ্যে প্রায় ১০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে।এদিকে, এ মৈত্রী সেতু কেন্দ্র করে রামগড়-হেঁয়াকো-বারৈয়ারহাট প্রধান সড়ক প্রশস্ত করার অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক।

রামগড় পৌর মেয়র কাজী মো.শাহজাহান রিপন বলেন, ‘স্থলবন্দর চালু হলে রামগড়সহ পুরো জেলার দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। রামগড় পৌরসভার রাজস্ব আয় বাড়বে। এছাড়াও স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ’

২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বেশ কয়েকমাস নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। সরকার থেকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশন রয়েছে বলে জানান রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ উল মারুফ।

তিনি বলেন, ‘সেতুর কার্পেটিং, রোড লাইটসহ একদম শেষ ভাগের কাজ চলছে। এখন সড়ক প্রশস্ত করার কাজ বাকি আছে, যাতে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে। ’

রামগড় স্থলবন্দরের অবস্থানগত সুবিধা কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সর্ম্পক সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগস

নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড

চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারতের সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে

আপডেট সময় ১২:২৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১

অর্থনীতি ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারতের সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে।এর মাধ্যমে খুলবে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার।

আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।রামগড়ের ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেতু কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে রামগড় স্থলবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ভারত সরকারে অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি চালু হলে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হলে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধন করবেন।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

খাগড়াছড়ির রামগড়ে  মহামুনি এলাকায় প্রায় ২৮৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণের ব্যয়ভার বহন করছে ভারত সরকার। ৪১২ মিটার দৈঘ্যের সেতুটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৮২ দশমিক ৫৭ কোটি রুপি।

নির্মাণকাজ শেষ হলে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবব্রুম মহকুমায় সংযোগ স্থাপিত হবে। চালু হবে স্থলবন্দর।

সেতু নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলভমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড এবং ভারতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দানেশ চন্দ্র আগরওয়াল ইনফ্রাকন প্রাইভেট লিমিটেড।

স্থলবন্দর চালু হলে পশ্চাৎপদ পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীর ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী স্থানীরা। এখানকার মানুষের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। পর্যটন শিল্পও আরও গতীশীল হয়ে উঠবে।

রামগড়ের স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন লাভলু জানান, ‘মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে আশ্রয়, খাদ্য, বস্ত্র ও যুদ্ধে সহায়তা দিয়ে ত্রিপুরাবাসীর সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক হয়।

এখন ফেনী নদীর ওপর ভারত সরকারের নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ হবে ত্রিপুরাবাসীর সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। আমরা আশা করি, রামগড়-সাব্রুম একটি পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হবে। এতে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে। ’

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, সেতুর নির্মাণ শেষ হলেই রামগড় স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

ইতোমধ্যে প্রায় ১০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে।এদিকে, এ মৈত্রী সেতু কেন্দ্র করে রামগড়-হেঁয়াকো-বারৈয়ারহাট প্রধান সড়ক প্রশস্ত করার অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক।

রামগড় পৌর মেয়র কাজী মো.শাহজাহান রিপন বলেন, ‘স্থলবন্দর চালু হলে রামগড়সহ পুরো জেলার দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। রামগড় পৌরসভার রাজস্ব আয় বাড়বে। এছাড়াও স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ’

২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বেশ কয়েকমাস নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। সরকার থেকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশন রয়েছে বলে জানান রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ উল মারুফ।

তিনি বলেন, ‘সেতুর কার্পেটিং, রোড লাইটসহ একদম শেষ ভাগের কাজ চলছে। এখন সড়ক প্রশস্ত করার কাজ বাকি আছে, যাতে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে। ’

রামগড় স্থলবন্দরের অবস্থানগত সুবিধা কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সর্ম্পক সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471