ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর বাচারী গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশনফি সহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর এক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে । শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, টাকা না দেয়ায় ফলাফল আটকে রেখে হয়রানি করা হচ্ছে তাদের । শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, নিয়মবহির্ভূত অর্থ নেয়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সেশনফি সহ নানা খাত দেখিয়ে দাবি করা টাকার জন্য শিক্ষকদের রুঢ় আচরণের কথা সোমবার সকাল ১১ টায় বিদ্যালয় চত্তরে সময় সংবাদ তুলে ধরে সপ্তম শ্রেণির আসমাউল ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শিহাব । নওগাঁ সদর উপজেলার বাচারী গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত ক’দিন ধরেই জমা দেয়া অ্যাসাইনমেন্টের ফলাফল জানার জন্য বিদ্যালয়ে এসে শিহাব ও আসমাউলের মতো ঘুরছে। বিভিন্ন খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা দাবি করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও লম্বা হিসেব দেখিয়ে টাকা দাবি করা হচ্ছে। আর টাকা না দেয়ায় ফলাফল আটকে দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের । ৯ম শ্রেনীর ছাত্র মারুফ জানায় সহ আরো বেশ ক জন জানায়, যারা উপ বৃত্তি পায় তাদের কাছ থেকেও সেসন ফি সহ টাকা দাবী করা হয়েছে । আমরা দাবী করছি, এবার করোনার কারণে সবার আর্থিক অবস্থা খারাপ তার পরও শিক্ষকরা চাপ দিচ্ছে টাকা না দিলে ছাত্রদের পাশ করানো হবে না বলে ভয় দেখাচ্ছে ।

করোনাকালে একেতো বিদ্যালয় বন্ধ, তার উপর বাড়তি অর্থ দাবি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিরা । স্থানীয় বক্তারপুর ইউনিয়ননের ৭নং নম্বর ওয়ার্ড সদস্য, নওগাঁ মো: শাহজাহান বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি, আমাদের এলাকার মানুষ দরিদ্র ।

যারা টাকা দেওয়ার সামর্থ রাখেনা তাদের কাছ থেকে টাকা না নেওয়ার কথা বলছি কিন্ত তারা টাকা নিচ্ছেই । তবে প্রধান শিক্ষক মো: ওয়াহেদুর রহমান লিটনের দাবি, নীতিমালার ভিত্তিতেই অর্থ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ৮ মাসের বেতন সহ আনু সাঙগিক ৮শ টাকা নিচ্ছি । তবে এখন পর্যন্ত অর্ধেক শিক্ষার্থী টাকা দেয়নি ।

নওগাঁ সদর উপজেলাশিক্ষা কর্মকর্তা, মো: ওয়াসিউর রহমান বলেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার নেওয়া হবে । যদি নিয়মের বাইরে অর্থ নেওয়া হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ে মোট ২শ ৯৪ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে।

ট্যাগস

নওগাঁর বাচারী গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশনফি সহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর এক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে । শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, টাকা না দেয়ায় ফলাফল আটকে রেখে হয়রানি করা হচ্ছে তাদের । শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, নিয়মবহির্ভূত অর্থ নেয়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সেশনফি সহ নানা খাত দেখিয়ে দাবি করা টাকার জন্য শিক্ষকদের রুঢ় আচরণের কথা সোমবার সকাল ১১ টায় বিদ্যালয় চত্তরে সময় সংবাদ তুলে ধরে সপ্তম শ্রেণির আসমাউল ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শিহাব । নওগাঁ সদর উপজেলার বাচারী গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত ক’দিন ধরেই জমা দেয়া অ্যাসাইনমেন্টের ফলাফল জানার জন্য বিদ্যালয়ে এসে শিহাব ও আসমাউলের মতো ঘুরছে। বিভিন্ন খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা দাবি করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও লম্বা হিসেব দেখিয়ে টাকা দাবি করা হচ্ছে। আর টাকা না দেয়ায় ফলাফল আটকে দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের । ৯ম শ্রেনীর ছাত্র মারুফ জানায় সহ আরো বেশ ক জন জানায়, যারা উপ বৃত্তি পায় তাদের কাছ থেকেও সেসন ফি সহ টাকা দাবী করা হয়েছে । আমরা দাবী করছি, এবার করোনার কারণে সবার আর্থিক অবস্থা খারাপ তার পরও শিক্ষকরা চাপ দিচ্ছে টাকা না দিলে ছাত্রদের পাশ করানো হবে না বলে ভয় দেখাচ্ছে ।

করোনাকালে একেতো বিদ্যালয় বন্ধ, তার উপর বাড়তি অর্থ দাবি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিরা । স্থানীয় বক্তারপুর ইউনিয়ননের ৭নং নম্বর ওয়ার্ড সদস্য, নওগাঁ মো: শাহজাহান বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি, আমাদের এলাকার মানুষ দরিদ্র ।

যারা টাকা দেওয়ার সামর্থ রাখেনা তাদের কাছ থেকে টাকা না নেওয়ার কথা বলছি কিন্ত তারা টাকা নিচ্ছেই । তবে প্রধান শিক্ষক মো: ওয়াহেদুর রহমান লিটনের দাবি, নীতিমালার ভিত্তিতেই অর্থ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ৮ মাসের বেতন সহ আনু সাঙগিক ৮শ টাকা নিচ্ছি । তবে এখন পর্যন্ত অর্ধেক শিক্ষার্থী টাকা দেয়নি ।

নওগাঁ সদর উপজেলাশিক্ষা কর্মকর্তা, মো: ওয়াসিউর রহমান বলেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার নেওয়া হবে । যদি নিয়মের বাইরে অর্থ নেওয়া হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ে মোট ২শ ৯৪ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471