ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নওগাঁয় চালের দর বস্তা প্রতি আড়াইশো টাকা কমেছে

কমেছে চালের দাম

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ  উত্তরাঞ্চলের মধ্যে খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁ। এখানে রয়েছে ধান চালের সবচেয়ে বড় মোকাম। জেলার চালকলগুলোতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনবল সংকটে চাল উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে।

অন্যদিকে পরিবহন জটিলতা ও হঠাৎ করে মোকামে চাহিদা কমে যাওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাল সরবরাহ আগের তুলনায় ৩০ ভাগ কমে গেছে। এতে করে কেজিতে চালের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপ এবং ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতি বছর ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়। জেলার প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা রাজধানীসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। করোনার পূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাধারণত প্রতিদিন ৭০/৮০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হতো। বিগত ১৫-২০ দিন আগে বেশ কয়েকদিন মোটা চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত মোকামে চালের চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হচ্ছে।

বর্তমান বাজারে ব্রি-২৮ চালের দাম ৫০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। স্বর্ণা-৫ চালের দাম ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। যা পূর্বে ছিল ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকা। মিনিকেট নতুন চালের দাম ২ হাজার ১৫০ টাকা। যা পূর্বে ছিল পুরাতন চাল ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। নাজিরশাইল চালের দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

 

 

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৯৬০টি চালকল চলমান আছে। এর মধ্যে হাসকিং ৯০৫টি ও অটোমেটিক ৫৫টি। যেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সব শ্রমিক কাজে না আসায় চালকলগুলো চালু করতে পারছেন না মিলাররা। এছাড়া লকডাউনের কারণে ধান চাল পরিবহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

তবে জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্নভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে আসা শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

 

নওগাঁ ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, চলমান লকডাউন এবং করোনা আতঙ্কে শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক চালকল এখনও চালু হয়নি। এরপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে মোকামে পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকায় দিন দিন দাম কমতে শুরু করেছে।

এছাড়া সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হলে ধান চালের বাজার আবারও স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

ট্যাগস

নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড

নওগাঁয় চালের দর বস্তা প্রতি আড়াইশো টাকা কমেছে

আপডেট সময় ১১:০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ  উত্তরাঞ্চলের মধ্যে খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁ। এখানে রয়েছে ধান চালের সবচেয়ে বড় মোকাম। জেলার চালকলগুলোতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনবল সংকটে চাল উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে।

অন্যদিকে পরিবহন জটিলতা ও হঠাৎ করে মোকামে চাহিদা কমে যাওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাল সরবরাহ আগের তুলনায় ৩০ ভাগ কমে গেছে। এতে করে কেজিতে চালের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপ এবং ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতি বছর ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়। জেলার প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা রাজধানীসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। করোনার পূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাধারণত প্রতিদিন ৭০/৮০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হতো। বিগত ১৫-২০ দিন আগে বেশ কয়েকদিন মোটা চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত মোকামে চালের চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হচ্ছে।

বর্তমান বাজারে ব্রি-২৮ চালের দাম ৫০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। স্বর্ণা-৫ চালের দাম ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। যা পূর্বে ছিল ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকা। মিনিকেট নতুন চালের দাম ২ হাজার ১৫০ টাকা। যা পূর্বে ছিল পুরাতন চাল ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। নাজিরশাইল চালের দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

 

 

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৯৬০টি চালকল চলমান আছে। এর মধ্যে হাসকিং ৯০৫টি ও অটোমেটিক ৫৫টি। যেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সব শ্রমিক কাজে না আসায় চালকলগুলো চালু করতে পারছেন না মিলাররা। এছাড়া লকডাউনের কারণে ধান চাল পরিবহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

তবে জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্নভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে আসা শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

 

নওগাঁ ধান চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, চলমান লকডাউন এবং করোনা আতঙ্কে শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক চালকল এখনও চালু হয়নি। এরপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে মোকামে পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকায় দিন দিন দাম কমতে শুরু করেছে।

এছাড়া সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হলে ধান চালের বাজার আবারও স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471