ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চোখের সামনে অগণিত লাশ, হতাশায় চিকিৎসকের আত্মহত্যা

আত্মহত্যাকারী চিকিৎসক

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  আক্রান্ত আর লাশের সংখ্যার দিক দিয়ে করোনায় সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত আমেরিকা। আক্রান্ত ১০ লক্ষ, মৃত্যু প্রায় ৫৭ হাজার মানুষের।

তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও খুব একটা নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন লাশের পাহাড় দেখতে-দেখতে হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন আমেরিকান এক চিকিৎসক।

ঐ চিকিৎসকের পরিবারেরর দাবি মৃত্যুর মিছিল দেখতে দেখতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন সে। ওই চিকিৎসকের নাম ডা. লরনা ব্রিন।

নিজেও কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েও ভেঙে পড়েননি তিনি। সুস্থ হয়ে ফের যোগ দিয়েছিলেন করোনা-যুদ্ধে। তিনি ম্যানহাটানের নিউইয়র্ক-প্রেসবাইটেরিয়ান অ্যালেন হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ডিরেক্টর ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ভার্জিনিয়ায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন লরনা। কিন্তু গত রবিবার ৪৯ বছর বয়সী এই চিকিৎসক নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। মৃত চিকিৎসকের শোকে মূহ্যমান বাবা বলেছেন, ‘মেয়ের কাজই ওকে কেড়ে নিল।’ এসময় তিনি তার মেয়ের কোনও ধরনের মানসিক অসুস্থতা ছিল না বলে জানান।

তিনি আরও জানান, শেষ যখন মেয়ের সঙ্গে কথা হয় তার, তখন লরনা বলেছিলেন, হাসপাতালে কীভাবে অকাতরে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

ম্যানহাটনের যে হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন লরনা, সেই ২০০ শয্যার হাসপাতালটিতে বহু সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছেন করোনায়। সেই শোক সহ্য করতে পারেননি ওই চিকিৎসক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও লরনাকে ‘বীর যোদ্ধা’ বলে অভিহিত করেছে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

চোখের সামনে অগণিত লাশ, হতাশায় চিকিৎসকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০১:২৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  আক্রান্ত আর লাশের সংখ্যার দিক দিয়ে করোনায় সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত আমেরিকা। আক্রান্ত ১০ লক্ষ, মৃত্যু প্রায় ৫৭ হাজার মানুষের।

তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও খুব একটা নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন লাশের পাহাড় দেখতে-দেখতে হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন আমেরিকান এক চিকিৎসক।

ঐ চিকিৎসকের পরিবারেরর দাবি মৃত্যুর মিছিল দেখতে দেখতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন সে। ওই চিকিৎসকের নাম ডা. লরনা ব্রিন।

নিজেও কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েও ভেঙে পড়েননি তিনি। সুস্থ হয়ে ফের যোগ দিয়েছিলেন করোনা-যুদ্ধে। তিনি ম্যানহাটানের নিউইয়র্ক-প্রেসবাইটেরিয়ান অ্যালেন হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ডিরেক্টর ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ভার্জিনিয়ায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন লরনা। কিন্তু গত রবিবার ৪৯ বছর বয়সী এই চিকিৎসক নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। মৃত চিকিৎসকের শোকে মূহ্যমান বাবা বলেছেন, ‘মেয়ের কাজই ওকে কেড়ে নিল।’ এসময় তিনি তার মেয়ের কোনও ধরনের মানসিক অসুস্থতা ছিল না বলে জানান।

তিনি আরও জানান, শেষ যখন মেয়ের সঙ্গে কথা হয় তার, তখন লরনা বলেছিলেন, হাসপাতালে কীভাবে অকাতরে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

ম্যানহাটনের যে হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন লরনা, সেই ২০০ শয্যার হাসপাতালটিতে বহু সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছেন করোনায়। সেই শোক সহ্য করতে পারেননি ওই চিকিৎসক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও লরনাকে ‘বীর যোদ্ধা’ বলে অভিহিত করেছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471