ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পন্ন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই জটিল অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেন দেশের খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বাধীন একটি চিকিৎসক দল।

সকালে আনুমানিক ৭টায় ডা. শফিকুর রহমানকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় এবং সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়। সার্জারির পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সাত দিনের মধ্যেই তিনি বাসায় ফিরতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুরুতে বড় কোনো জটিলতা ধরা না পড়লেও পরে পরীক্ষায় তার হৃদপিণ্ডে পাঁচটি ব্লক শনাক্ত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল গুরুতর এবং বাকি দুটি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বন্ধ।

চিকিৎসা বোর্ড প্রাথমিকভাবে তাকে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিলেও ডা. শফিকুর রহমান নিজেই দেশে চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পন্ন

আপডেট সময় ০৫:০৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই জটিল অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেন দেশের খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বাধীন একটি চিকিৎসক দল।

সকালে আনুমানিক ৭টায় ডা. শফিকুর রহমানকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় এবং সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়। সার্জারির পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সাত দিনের মধ্যেই তিনি বাসায় ফিরতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুরুতে বড় কোনো জটিলতা ধরা না পড়লেও পরে পরীক্ষায় তার হৃদপিণ্ডে পাঁচটি ব্লক শনাক্ত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল গুরুতর এবং বাকি দুটি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বন্ধ।

চিকিৎসা বোর্ড প্রাথমিকভাবে তাকে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিলেও ডা. শফিকুর রহমান নিজেই দেশে চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।