জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে। বিচারব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য, আইনশৃঙ্খলা—সবকিছু ভেঙে পড়বে। তাই এখনই প্রয়োজন একটি জনগণের সরকার।
সোমবার (৭ জুলাই) সিলেট নগরের পাঠানটুলায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশকে সঠিক পথে নিতে হলে নির্বাচন দরকার। তবে সেটা হতে হবে নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত, নেতা-কর্মীদেরও প্রস্তুত থাকতে হবে। মানুষের কাছে যান, তাদের বোঝান—বিএনপি ছাড়া বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ও ড. ইউনূস লন্ডনে বসে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের সময় ঠিক করেছেন—এ উদ্যোগকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। আশাবাদী, এই সময়ের মধ্যেই দেশে গণতন্ত্র ফিরবে।
বক্তব্যের শুরুতে ফখরুল বলেন, সিলেট আমাদের জন্য আধ্যাত্মিক শক্তির জায়গা। এখানকার মাটিতে শতাব্দী ধরে সত্য ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছেন শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.)। সেই পথেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সেই দল, যারা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই ৩১ দফা দিয়েছে বিএনপি। শহীদ জিয়ার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়াই এখন আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালিক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন— হাবিবুর রহমান হাবিব, তাহসিনা রুশদীর লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী, ড. এনামুল হক চৌধুরী, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, ব্যারিস্টার এম এ সালাম, নিপুন রায় চৌধুরীসহ আরও অনেকে।