ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ; ৩জনকে যাবজ্জীবন

রাজধানীর মাতুয়াইলে ৯ বছর আগে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মাতুয়াইলের হাজী আ. লতিফ ভূইয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন এবং তার দুই সহযোগী নাজমুল ও জিলকদ।

রায় ঘোষণার আগে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ)।

এজাহার থেকে জানা গেছে, শামীম তার কলেজের এক ছাত্রীকে সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই ছাত্রী তা প্রত্যাখান করায় তিনি ক্ষিপ্ত হন।

২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ওই ছাত্রী বাসা থেকে বের হয়ে কলেজের গেটে পৌঁছালে নাজমুল ও জিলকদ সহযোগিতায় তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেন শামীম। পরে মাতুয়াইলে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে তারা তিনজন ধর্ষণ করেন।

ঘটনার দু-দিন পর ওই ছাত্রীর মা যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা করেন।

মামলা তদন্ত করে ওই বছর যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। আটজনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।

ট্যাগস

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ; ৩জনকে যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৬:০২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

রাজধানীর মাতুয়াইলে ৯ বছর আগে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মাতুয়াইলের হাজী আ. লতিফ ভূইয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন এবং তার দুই সহযোগী নাজমুল ও জিলকদ।

রায় ঘোষণার আগে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ)।

এজাহার থেকে জানা গেছে, শামীম তার কলেজের এক ছাত্রীকে সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই ছাত্রী তা প্রত্যাখান করায় তিনি ক্ষিপ্ত হন।

২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ওই ছাত্রী বাসা থেকে বের হয়ে কলেজের গেটে পৌঁছালে নাজমুল ও জিলকদ সহযোগিতায় তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেন শামীম। পরে মাতুয়াইলে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে তারা তিনজন ধর্ষণ করেন।

ঘটনার দু-দিন পর ওই ছাত্রীর মা যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা করেন।

মামলা তদন্ত করে ওই বছর যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। আটজনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।