ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২ শিশু সন্তান কে আটকে রাখার অভিযোগ

নতুন বিয়ে করলে আরো যৌতুক পাবে তাই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পাত্রীর সন্ধানে আতিকুর

অভিযুক্ত আতিকুর রহমান

বাবার বাড়ী থেকে টাকা এনে না দিলেই স্ত্রীকে চালান বেদম নির্যাতন। ২ টি শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে  শত নির্যাতন মাথা পেতে নিয়ে সংসার আকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন রাশিদা খাতুন।

আর মেয়ের সুখের জন্য বাবা আব্দুর রশীদ জামাইয়ের হাতে দফায় দফায় তুলে দেন অন্তত ১০ লাখ টাকা।কিন্ত তাতেও ক্ষান্ত নয় জামাই আতিকুর। আরো টাকা চাই।

যৌতুকের প্রবল মোহে দিওয়ানা আতিকুর নতুন বিয়ে করলে আরো টাকা পাবে এ স্বপ্নেই স্ত্রী রাশিদা খাতুন কে মারপিটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রাশিদা বাবার বাড়ীতে আসে। এ সুযোগে স্ত্রীকে তালাকের কাগজ পাটিয়ে দেয় আতিকুর।যৌতুক যাতনার এ গল্প নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পল্লীতে ।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা আতিকুরের সাথে পার্শবর্তী খড়িবাড়ী গ্রামের আব্দুর রশীদের মেয়ে রাশিদা খাতুনের বিয়ে হয় ২০১৭ সালে।বিয়ের সময়  মেয়ের সুখের জন্য একটি মোটর সাইকেল, নগদ টাকা ও সোনা সহ প্রায় ১০ লাখ টাকা প্রদান করে আব্দুর রশীদ।

রাশেদুর রহমান ও আতিয়া নামের ২ শিশুকে আটকে রাখার অভিযোগ

আব্দুর রশীদ জানায় জামাই আতিকুর কে প্রতিষ্টিত করতে  স্থানীয় বাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান গড়ে দেন তিনি। কিন্ত যৌতুক লোভী আতিকুরের আরো চাই  এ কারণে স্ত্রী রাশিদার প্রতি নির্দয় প্রহারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর মাঝে তাদের সংসারে ২ টি সন্তান আসে।যাদের বয়স ৭ বছর ও সাড়ে ৪ বছর । মারপিট করে রাশিদাকে গত ১৫/০৭/২৪ তারিখে তার বাবার বাড়ীতে পাটিয়ে দেয়।এর পরদিন হটাৎ রাশিদার কাছে তালাকের কাগজ প্রেরন করে আতিকুর। এ নিয়ে নওগাঁর আদালতে একটি মামলা করে রাশিদা। চলমান মামলার মাঝে গত ০৩/১০/২০২৪ তারিখে আতিকুর তার লোকজন দিয়ে কৌশলে ২ শিশু সন্তান কে তার মায়ের  বাড়ী তুলে  নিয়ে যায়। এরপর তাদের সেখানে জিম্মি করে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে আদালতে দারস্থ হন শিশুর মা রাশিদা। রাশিদা অভিযোগ করে জানায় তার শিশু রাশেদুর রহমান (৬) ও আতিয়া ‍সুলতানা যার বয়স সাড়ে ৪ বছর। তাদের কে জোর করে আটকে রেখেছে । যদিও স্বামী স্ত্রী বিচ্ছেদের পর আইনে শিশু সন্তান তার মায়ের কাছে থাকার বিধান দেয় ।কিন্ত আতিকুর তা মানছে না ।

স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে কয়েকজন জানান, আতিকুর একজন লোভী ও লম্পট প্রকৃতির। সে নতুন বিয়ে করলে আরো যৌতুক পাবে এমন আশায় বিভিন্ন জায়গায় পাত্রী দেখছে। এদিকে সংসার হারানো রাশিদা আকুতি করে জানায়  অবুঝ ২ শিশু সন্তান কে উদ্ধার করে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আতিকুরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে ।

 

 

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

২ শিশু সন্তান কে আটকে রাখার অভিযোগ

নতুন বিয়ে করলে আরো যৌতুক পাবে তাই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পাত্রীর সন্ধানে আতিকুর

আপডেট সময় ০৮:৪৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

বাবার বাড়ী থেকে টাকা এনে না দিলেই স্ত্রীকে চালান বেদম নির্যাতন। ২ টি শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে  শত নির্যাতন মাথা পেতে নিয়ে সংসার আকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন রাশিদা খাতুন।

আর মেয়ের সুখের জন্য বাবা আব্দুর রশীদ জামাইয়ের হাতে দফায় দফায় তুলে দেন অন্তত ১০ লাখ টাকা।কিন্ত তাতেও ক্ষান্ত নয় জামাই আতিকুর। আরো টাকা চাই।

যৌতুকের প্রবল মোহে দিওয়ানা আতিকুর নতুন বিয়ে করলে আরো টাকা পাবে এ স্বপ্নেই স্ত্রী রাশিদা খাতুন কে মারপিটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রাশিদা বাবার বাড়ীতে আসে। এ সুযোগে স্ত্রীকে তালাকের কাগজ পাটিয়ে দেয় আতিকুর।যৌতুক যাতনার এ গল্প নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পল্লীতে ।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা আতিকুরের সাথে পার্শবর্তী খড়িবাড়ী গ্রামের আব্দুর রশীদের মেয়ে রাশিদা খাতুনের বিয়ে হয় ২০১৭ সালে।বিয়ের সময়  মেয়ের সুখের জন্য একটি মোটর সাইকেল, নগদ টাকা ও সোনা সহ প্রায় ১০ লাখ টাকা প্রদান করে আব্দুর রশীদ।

রাশেদুর রহমান ও আতিয়া নামের ২ শিশুকে আটকে রাখার অভিযোগ

আব্দুর রশীদ জানায় জামাই আতিকুর কে প্রতিষ্টিত করতে  স্থানীয় বাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান গড়ে দেন তিনি। কিন্ত যৌতুক লোভী আতিকুরের আরো চাই  এ কারণে স্ত্রী রাশিদার প্রতি নির্দয় প্রহারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর মাঝে তাদের সংসারে ২ টি সন্তান আসে।যাদের বয়স ৭ বছর ও সাড়ে ৪ বছর । মারপিট করে রাশিদাকে গত ১৫/০৭/২৪ তারিখে তার বাবার বাড়ীতে পাটিয়ে দেয়।এর পরদিন হটাৎ রাশিদার কাছে তালাকের কাগজ প্রেরন করে আতিকুর। এ নিয়ে নওগাঁর আদালতে একটি মামলা করে রাশিদা। চলমান মামলার মাঝে গত ০৩/১০/২০২৪ তারিখে আতিকুর তার লোকজন দিয়ে কৌশলে ২ শিশু সন্তান কে তার মায়ের  বাড়ী তুলে  নিয়ে যায়। এরপর তাদের সেখানে জিম্মি করে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে আদালতে দারস্থ হন শিশুর মা রাশিদা। রাশিদা অভিযোগ করে জানায় তার শিশু রাশেদুর রহমান (৬) ও আতিয়া ‍সুলতানা যার বয়স সাড়ে ৪ বছর। তাদের কে জোর করে আটকে রেখেছে । যদিও স্বামী স্ত্রী বিচ্ছেদের পর আইনে শিশু সন্তান তার মায়ের কাছে থাকার বিধান দেয় ।কিন্ত আতিকুর তা মানছে না ।

স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে কয়েকজন জানান, আতিকুর একজন লোভী ও লম্পট প্রকৃতির। সে নতুন বিয়ে করলে আরো যৌতুক পাবে এমন আশায় বিভিন্ন জায়গায় পাত্রী দেখছে। এদিকে সংসার হারানো রাশিদা আকুতি করে জানায়  অবুঝ ২ শিশু সন্তান কে উদ্ধার করে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আতিকুরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে ।