ঢাকা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিনেত্রী শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর ১ম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।

শাওনের বিরুদ্ধে তার বাবা ও মাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শাওনের দ্বিতীয় মা নিশি ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতে হাজির হয়ে বাড্ডা থানার দুই পুলিশ সদস্য অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, বাড্ডা থানার তৎকালীন ওসির নির্দেশে তারা বাদী নিশি ইসলামকে আটক ও নির্যাতনে অংশ নেন। শাওন, ডিবি হারুনসহ বাকি আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এ বিষয়ে নিশি ইসলাম বলেন, আমরা চাই আসামিদের শাস্তি হোক। শাওন এই মামলায় অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে। আমাদেরকে মারধর করেছে সে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী একটি ম্যারেজ মিডিয়ায় বিয়ের জন্য ‘পাত্রী চাই’ বিজ্ঞাপন দেন। সে বিজ্ঞাপন থেকেই নিশির সঙ্গে পরিচয় ও বিয়ে।

এ ঘটনা জানার পর বাবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান শাওন। এ সময় শাওন ও তার অন্য ভাই-বোনরা ক্ষমতার প্রভাবে দ্বিতীয় মা নিশিকে ছয় মাসের জন্য জেলেও পাঠান।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

অভিনেত্রী শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আপডেট সময় ০১:২৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর ১ম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।

শাওনের বিরুদ্ধে তার বাবা ও মাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শাওনের দ্বিতীয় মা নিশি ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতে হাজির হয়ে বাড্ডা থানার দুই পুলিশ সদস্য অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, বাড্ডা থানার তৎকালীন ওসির নির্দেশে তারা বাদী নিশি ইসলামকে আটক ও নির্যাতনে অংশ নেন। শাওন, ডিবি হারুনসহ বাকি আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এ বিষয়ে নিশি ইসলাম বলেন, আমরা চাই আসামিদের শাস্তি হোক। শাওন এই মামলায় অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে। আমাদেরকে মারধর করেছে সে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী একটি ম্যারেজ মিডিয়ায় বিয়ের জন্য ‘পাত্রী চাই’ বিজ্ঞাপন দেন। সে বিজ্ঞাপন থেকেই নিশির সঙ্গে পরিচয় ও বিয়ে।

এ ঘটনা জানার পর বাবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান শাওন। এ সময় শাওন ও তার অন্য ভাই-বোনরা ক্ষমতার প্রভাবে দ্বিতীয় মা নিশিকে ছয় মাসের জন্য জেলেও পাঠান।