ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁ-পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ৬ ডাকাত গ্রেফতার

নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।

এর আগে রোববার (২ মার্চ) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আওড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শামীম ইসলাম (২৭), হাতিয়ার গ্রামের অরুণ চন্দ্র বর্মণের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র বর্মণ (৩০), বামুটপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ (২৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরন্দর গ্রামের মনসুর বেপারীর ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৭), একই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) ও বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার সিন্ধুরাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪০)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় একটি বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তদন্ত শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে ছয় ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে জয়পুরহাটের কালাই থেকে, দুইজন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে এবং একজন বগুড়ার কাহালু থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল, একজোড়া কানের দুলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে করাত, কয়েকটি হাসুয়া, একটি প্লাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হায়েস মাইক্রোবাস।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নওগাঁয় গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে ৫জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাবনার সাঁথিয়ায় সংঘটিত ডাকাতির সাথেও জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে ছয়টি, শাহারুলের বিরুদ্ধে দুটি, শামীমের বিরুদ্ধে দুটি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং অন্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ফারজানা হোসেনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস

নওগাঁ-পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ৬ ডাকাত গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৪:১২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।

এর আগে রোববার (২ মার্চ) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আওড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শামীম ইসলাম (২৭), হাতিয়ার গ্রামের অরুণ চন্দ্র বর্মণের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র বর্মণ (৩০), বামুটপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ (২৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরন্দর গ্রামের মনসুর বেপারীর ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৭), একই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) ও বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার সিন্ধুরাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪০)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় একটি বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তদন্ত শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে ছয় ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে জয়পুরহাটের কালাই থেকে, দুইজন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে এবং একজন বগুড়ার কাহালু থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল, একজোড়া কানের দুলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে করাত, কয়েকটি হাসুয়া, একটি প্লাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হায়েস মাইক্রোবাস।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নওগাঁয় গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে ৫জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাবনার সাঁথিয়ায় সংঘটিত ডাকাতির সাথেও জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে ছয়টি, শাহারুলের বিরুদ্ধে দুটি, শামীমের বিরুদ্ধে দুটি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং অন্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ফারজানা হোসেনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।