বগুড়ার কাহালুতে বিদ্যুৎ বিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দেবরের ছুরিকাঘাতে রূপালী বেগম (৩৮) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রুপালীর স্বামী পলাশ প্রামাণিক গুরুতর আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুপালী মারা যান। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কাহালু পৌর এলাকার পাল্লাপাড়া গ্রামে ছুরিকাঘাতের এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অভিযুক্ত দেবর মোজাম্মেল হক (৩২), তার স্ত্রী আফরোজা (২৫), তার বাবা রশেদ আলী (৬৫) ও মা মরিয়ম বেগমকে (৬০) আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাহালু পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাল্লাপাড়া গ্রামের গৃহকর্তা রশিদ আলী ও দুই ছেলের পরিবার একই মিটারে বৈদ্যুতিক বিল ভাগাভাগি করে পরিশোধ করত। বিলের ভাগাভাগি নিয়ে গতকাল রাতে ছোট ছেলে মোজাম্মেল হকের সঙ্গে বড় ছেলে পলাশ ও তাঁর স্ত্রী রূপালীর ঝগড়া হয়।
বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে মোজাম্মেল হক ধারালো ছুরি দিয়ে ভাবি রূপালীর পেটে আঘাত করেন। এতে রূপালী গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত একটার দিকে রূপালীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দেবর মোজাম্মেল হক, তাঁর স্ত্রী আফরোজা, শ্বশুর রশিদ আলী ও শাশুড়ি মরিয়ম বেগমকে আটক করে। পরে রূপালীর ভাই হত্যা মামলা দায়ের করলে আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওসি আব্দুল হান্নান বলেন, এ ঘটনায় আজ বুধবার চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মোজাম্মেল পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রুপালীর লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।