ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে ১৫০ টিরও বেশি তিমি আটকা পড়েছে

অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত সমুদ্র সৈকতে গণহারে আটকা পড়ার পর ৬০টিরও বেশি তিমি মারা গেছে। এই প্রজাতিকে বলা হয় ‘ফলস হোয়েল’। এই তিমি ডলফিন প্রজাতির মধ্যে পড়ে। দেশটির কর্তৃপক্ষ আরো তিমি বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

তাসমানিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ বিভাগ জানিয়েছে, দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে আর্থার নদীর কাছে ১৫৭টি তিমি সমুদ্র সৈকতে এসে পৌঁছেছে।

এর মধ্যে প্রায় ৯০টি তিমি এখনও জীবিত রয়েছে। সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ এবং পশুচিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে পরীক্ষা করছেন, তিমিগুলোকে সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব কি না। সাম্প্রতিক বছরগুলোকে তাসমানিয়ায় এমন ঘটনা বেশ কয়েকটি ঘটেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বাঁচানো একটি কঠিন লড়ায়ের সমান।বিভাগের মুখপাত্র ব্রেন্ডন ক্লার্ক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রাথমিক মূল্যায়ন থেকে বোঝা যাচ্ছে, দুর্গম স্থান, সমুদ্রের পরিস্থিতি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ সরঞ্জাম সরবরাহের চ্যালেঞ্জের কারণে তিমিগুলোকে পুনরায় সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া কঠিন হবে।’

পশ্চিম উপকূলে সাম্প্রতিক অন্যান্য আটকা পড়া ঘটনায় উদ্ধারকারীরা সফলভাবে তিমিগুলো উদ্ধার করেছিল, তবে একই কৌশল আবার ব্যবহার করা যাবে না। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দলগুলো বেঁচে থাকার সর্বোত্তম সম্ভাবনা নিয়ে তিমিগুলোকে পরীক্ষা করছে এবং উদ্ধারের বিকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করছে। অন্যদিকে বাকি তিমিগুলেঅকে জীবিত রাখার চেষ্টা চলছে।

কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলতে বলেছে এবং রাস্তাঘাটে প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জোসেলিন ফ্লিন্ট অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে জানিয়েছেন, বুধবার সকালে তার ছেলে রাতভর হাঙর মাছ ধরার সময় তিমির দলটি দেখতে পান।তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, ‘এখানে শিশু তিমি আছে… তাদের পরিবার আছে। তাদের চোখ খোলা, তারা তার দিকে তাকিয়ে আছে, যেন সাহায্য চাইছে। এটা ভয়াবহ একটি চিত্র। তারা সবাই লড়াই করছে।’

তিমি অত্যন্ত সামাজিক স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং দলবদ্ধভাবে আটকা পড়ার জন্য সুপরিচিত। সমুদ্র সৈকতে আটকা পড়ার কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন তত্ত্ব রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, প্রাণীরা তীরে শিকার করা মাছ অনুসরণ করার পরে দিশেহারা হয়ে পড়তে পারে। অন্যরা বিশ্বাস করেন, দলের একজন ভুল করে পুরো দলটিকে তীরে নিয়ে যেতে পারেন।

সূত্র: বিবিসি

ট্যাগস

৩ মাসের সন্তানকে চুলায় পুড়িয়ে ও বয়স্ক মাকে পিটিয়ে হত্যা

অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে ১৫০ টিরও বেশি তিমি আটকা পড়েছে

আপডেট সময় ০১:০১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত সমুদ্র সৈকতে গণহারে আটকা পড়ার পর ৬০টিরও বেশি তিমি মারা গেছে। এই প্রজাতিকে বলা হয় ‘ফলস হোয়েল’। এই তিমি ডলফিন প্রজাতির মধ্যে পড়ে। দেশটির কর্তৃপক্ষ আরো তিমি বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

তাসমানিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ বিভাগ জানিয়েছে, দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে আর্থার নদীর কাছে ১৫৭টি তিমি সমুদ্র সৈকতে এসে পৌঁছেছে।

এর মধ্যে প্রায় ৯০টি তিমি এখনও জীবিত রয়েছে। সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ এবং পশুচিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে পরীক্ষা করছেন, তিমিগুলোকে সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব কি না। সাম্প্রতিক বছরগুলোকে তাসমানিয়ায় এমন ঘটনা বেশ কয়েকটি ঘটেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বাঁচানো একটি কঠিন লড়ায়ের সমান।বিভাগের মুখপাত্র ব্রেন্ডন ক্লার্ক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রাথমিক মূল্যায়ন থেকে বোঝা যাচ্ছে, দুর্গম স্থান, সমুদ্রের পরিস্থিতি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ সরঞ্জাম সরবরাহের চ্যালেঞ্জের কারণে তিমিগুলোকে পুনরায় সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া কঠিন হবে।’

পশ্চিম উপকূলে সাম্প্রতিক অন্যান্য আটকা পড়া ঘটনায় উদ্ধারকারীরা সফলভাবে তিমিগুলো উদ্ধার করেছিল, তবে একই কৌশল আবার ব্যবহার করা যাবে না। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দলগুলো বেঁচে থাকার সর্বোত্তম সম্ভাবনা নিয়ে তিমিগুলোকে পরীক্ষা করছে এবং উদ্ধারের বিকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করছে। অন্যদিকে বাকি তিমিগুলেঅকে জীবিত রাখার চেষ্টা চলছে।

কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলতে বলেছে এবং রাস্তাঘাটে প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জোসেলিন ফ্লিন্ট অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে জানিয়েছেন, বুধবার সকালে তার ছেলে রাতভর হাঙর মাছ ধরার সময় তিমির দলটি দেখতে পান।তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, ‘এখানে শিশু তিমি আছে… তাদের পরিবার আছে। তাদের চোখ খোলা, তারা তার দিকে তাকিয়ে আছে, যেন সাহায্য চাইছে। এটা ভয়াবহ একটি চিত্র। তারা সবাই লড়াই করছে।’

তিমি অত্যন্ত সামাজিক স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং দলবদ্ধভাবে আটকা পড়ার জন্য সুপরিচিত। সমুদ্র সৈকতে আটকা পড়ার কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন তত্ত্ব রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, প্রাণীরা তীরে শিকার করা মাছ অনুসরণ করার পরে দিশেহারা হয়ে পড়তে পারে। অন্যরা বিশ্বাস করেন, দলের একজন ভুল করে পুরো দলটিকে তীরে নিয়ে যেতে পারেন।

সূত্র: বিবিসি