ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশের অস্থিরতা দূর করুন: মির্জা ফখরুল

  • স্টাফ রিপোটার :
  • আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৯৩ Time View

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে পুরো জাতি অস্থিরতার মধ্যে আছে। নির্বাচন দিয়ে অস্থিরতা দূর করুন। আর একটি রাজনৈতিক দলকে বলব এমন কিছু বলবেন না যাতে দেশ আবারও অস্থির হয়ে উঠে।

বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লার লাকসাম স্টেডিয়ামে রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

লাকসাম উপজেলা, পৌরসভা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম। জনসভার শুরুতে ৩১ টি কবুতর উড়িয়ে দিয়ে বিএনপির ৩১ দফাকে স্বাগত জানানো হয়।

দয়া করে দেশকে আর অস্থিতিশীল এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করবেন না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে বিদেশে বসেই কেউ কেউ সব সংগ্রাম করেছে। আমরা কিছুই করিনি। বিদেশে বসে অনেক কিছুই লেখা যায়, বলা যায়।

এসময় বিএনপি মহাসচিব জুলাই বিপ্লবে জনগণের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, দেশকে আবার অস্থির করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা চাই এই অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কেননা ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আজকে একটি ফ্যাসিবাদ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রজনতার সমন্বয়ে আমরা বিদায় করেছি। এখন একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এ সরকারকে সমর্থন না দিলে কাজ করতে পারবে না। তাই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা ভোটের কথা কেনো বলছো। নির্বাচিত সরকারের সাথে জনগণ থাকে। অনির্বাচিত সরকারের সাথে জনগণ থাকে না। তাই যতদ্রুত সম্ভব সংস্কার শুরু করে নির্বাচন দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করতে চাই না। কেউ কোনো বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। অযথা দেশকে বিভ্রান্ত করবেন না। ২৪ যেমন আমাদের স্মরণীয়, ৭১-ও স্মরণীয়। ৭১ নিয়ে কটাক্ষ কেউ কথা বলবেন না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেক বয়স হয়েছে। আর হানাহানি চাই না। দেশ নিয়ে শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। আগেও বলেছি ভারত আমাদের বড় প্রতিবেশী। তারা শেখ হাসিনা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে জনগণ তাদের পক্ষে থাকবে না। এরা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে।

ট্যাগস

৩ মাসের সন্তানকে চুলায় পুড়িয়ে ও বয়স্ক মাকে পিটিয়ে হত্যা

দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশের অস্থিরতা দূর করুন: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে পুরো জাতি অস্থিরতার মধ্যে আছে। নির্বাচন দিয়ে অস্থিরতা দূর করুন। আর একটি রাজনৈতিক দলকে বলব এমন কিছু বলবেন না যাতে দেশ আবারও অস্থির হয়ে উঠে।

বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লার লাকসাম স্টেডিয়ামে রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

লাকসাম উপজেলা, পৌরসভা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম। জনসভার শুরুতে ৩১ টি কবুতর উড়িয়ে দিয়ে বিএনপির ৩১ দফাকে স্বাগত জানানো হয়।

দয়া করে দেশকে আর অস্থিতিশীল এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করবেন না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে বিদেশে বসেই কেউ কেউ সব সংগ্রাম করেছে। আমরা কিছুই করিনি। বিদেশে বসে অনেক কিছুই লেখা যায়, বলা যায়।

এসময় বিএনপি মহাসচিব জুলাই বিপ্লবে জনগণের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, দেশকে আবার অস্থির করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা চাই এই অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কেননা ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আজকে একটি ফ্যাসিবাদ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রজনতার সমন্বয়ে আমরা বিদায় করেছি। এখন একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এ সরকারকে সমর্থন না দিলে কাজ করতে পারবে না। তাই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা ভোটের কথা কেনো বলছো। নির্বাচিত সরকারের সাথে জনগণ থাকে। অনির্বাচিত সরকারের সাথে জনগণ থাকে না। তাই যতদ্রুত সম্ভব সংস্কার শুরু করে নির্বাচন দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করতে চাই না। কেউ কোনো বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। অযথা দেশকে বিভ্রান্ত করবেন না। ২৪ যেমন আমাদের স্মরণীয়, ৭১-ও স্মরণীয়। ৭১ নিয়ে কটাক্ষ কেউ কথা বলবেন না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেক বয়স হয়েছে। আর হানাহানি চাই না। দেশ নিয়ে শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। আগেও বলেছি ভারত আমাদের বড় প্রতিবেশী। তারা শেখ হাসিনা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে জনগণ তাদের পক্ষে থাকবে না। এরা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে।