সাতক্ষীরায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর বিরুদ্ধে নিজের দুগ্ধপোষ্য শিশুসন্তানকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার পর নিজের বয়স্ক মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শান্তা প্রথমে তার মেয়ে আশরাফীকে চুলার আগুনে ফেলে পুড়িয়ে হত্যা করেন। এসময় ওই নারীর মা হোসনে আরা বাধা দিতে গেলে তাকেও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর শান্তা নিজেই পাশের বাড়ি গিয়ে জানান, তিনি তার মেয়ে ও মাকে হত্যা করেছেন।
খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিললুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে শান্তাকে আটক করেন এবং মরদেহ দুটি উদ্ধার করেন। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, দুপুর আনুমানিক ১টা ৩৫ মিনিটে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। শান্তাকে (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন,আজ বেলা ৩টার দিকে শান্তা তাঁর দুগ্ধপোষ্য শিশু আশরাফীকে জ্বলন্ত চুলার মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে শান্তার মা হোসনেয়ারা খাতুন শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসেন। এ সময় শান্তা হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সজোরে মায়ের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান হোসনেয়ারা। এরই মধ্যে চুলার আগুনে পুড়ে মারা যায় শিশু আশরাফী। পরে পরিস্থিতি ভয়াবহতা বিবেচনা করে স্থানীয়রা শান্তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন।