ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

শেরপুরে বেড়াতে গিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের শিকার,মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ পিকনিক স্পটে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৪)। এ ঘটনায় লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা।গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গজনী অবকাশ কেন্দ্রের একটি পাহাড়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মো. ইলিয়াস (২৫) নামের এক যুবকসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।ইলিয়াস ঝিনাইগাতী উপজেলার কালীনগর এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ওই মাদ্রাসাছাত্রী তার তিন-চারজন বান্ধবীর সঙ্গে ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশকেন্দ্রে বেড়াতে যায়। সেখানে ওই কিশোরীর সঙ্গে পূর্বপরিচিত মো. ইলিয়াসের সঙ্গে দেখা হয়। একপর্যায়ে ইলিয়াস তার তিন সহযোগীর সহায়তায় কিশোরীটিকে অবকাশকেন্দ্রের ভেতরে একটি পাহাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

পরে ওই যুবকের প্রভাবশালী পরিবার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীর পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়েটির মা লোকলজ্জার ভয়ে বাড়ির পাশে জঙ্গলে গিয়ে বিষপান করে। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমীন আজ সকালে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস

৩ মাসের সন্তানকে চুলায় পুড়িয়ে ও বয়স্ক মাকে পিটিয়ে হত্যা

শেরপুরে বেড়াতে গিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের শিকার,মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:০৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ পিকনিক স্পটে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৪)। এ ঘটনায় লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা।গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গজনী অবকাশ কেন্দ্রের একটি পাহাড়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মো. ইলিয়াস (২৫) নামের এক যুবকসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।ইলিয়াস ঝিনাইগাতী উপজেলার কালীনগর এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ওই মাদ্রাসাছাত্রী তার তিন-চারজন বান্ধবীর সঙ্গে ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশকেন্দ্রে বেড়াতে যায়। সেখানে ওই কিশোরীর সঙ্গে পূর্বপরিচিত মো. ইলিয়াসের সঙ্গে দেখা হয়। একপর্যায়ে ইলিয়াস তার তিন সহযোগীর সহায়তায় কিশোরীটিকে অবকাশকেন্দ্রের ভেতরে একটি পাহাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

পরে ওই যুবকের প্রভাবশালী পরিবার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীর পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়েটির মা লোকলজ্জার ভয়ে বাড়ির পাশে জঙ্গলে গিয়ে বিষপান করে। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমীন আজ সকালে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।