নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় চলছে বোরো চাষাবাদের ধুম। মাঘের শেষে চারিদিকে বীজতলায় চারা উঠানো ও জমিতে রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক শ্রমিকরা। বাড়িতে বাড়িতে কৃষানীদেরও বেড়েছে ব্যস্ততা।
বোরো চাষে দলবেধে নেমেছে পত্নীতলার কৃষক পরিবার । কৃষি শ্রমিকেরা ধান রোপণের জন্য বিঘা প্রতি ১হাজার ৪শত টাকা পর্যন্ত মজুরি নিচ্ছেন ।
শ্রমিক আশরাফ বলেন ১৪শ টাকা চুক্তি করলেও আমরা একদিনে পাঁচশত টাকা মজুরি পাচ্ছি, বাজারের চড়া জিনিসপত্রের মূল্যে কিনতে, আমেদের বেশি লাভ থাকেনা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ১৯হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত হেক্টর ৮ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে চারা রোপণ হয়েছে ধারনা করা হচ্ছে অগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রোপণ শেষ হতে পারে।
এবার উপজেলায় উফশী জাত জিরাশাইল,কাটারি,গোল্ডেন আতব, উচ্চ ফলনশীল ব্রি ৭৪, ব্রি ৮১, ব্রি ৮৮,ব্রি ৮৮,ব্রি ৮৯,ব্রি ৯০,ব্রি ৯২, ব্রি ১০০,ব্রি ১০২,ব্রি ১০৪, ব্রি ১০৫ সহ হাইব্রিড জাতের ধান রোপন হচ্ছে ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় বোরো আবাদের জন্য কৃষকের ব্যস্ততা কেউ জমিচাষ দিচ্ছেন কেউ মাটি সমান করছেন, কেউ চারা রোপণ করছেন।
উপজেলার কাঞ্চন গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তিনি এবার ৭ বিঘা জমিতে জিরাশাইল জাতের ধান আবাদ করছেন । গত বছরের তুলনায় খরচ বেশি হচ্ছে। একাধিক কৃষক জানায় গত বছরের তুলনায় এবার সেচ মূল্য বিঘা প্রতি ৫ শ থেকে ৭শ বেশী।
উপজেলা কৃষি কর্মর্কতা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন ধান লাইনে লাগানো , সঠিক বয়সের চারা রোপণ করতে হবে ৩০ থেকে ৩৫ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হবে সর্বোচ্চ ৪৫ দিন এর এর বেশী বয়সের চারা রোপণ করা যাবে না। কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকের পাশে আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভাল ফলন হবে।