বগুড়ার শেরপুরে ইনজেকশন দেওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে মারা গেছে নওশিন নামের ১৪ বছরের এক কিশোরী। পরে জনতা ভুয়া চিকিৎসক জাবেদ ইকবাল বাবুকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের রামচন্দ্রপুরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নওশিন বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল এলাকার নবীন উদ্দিনের মেয়ে। অভিযুক্ত চিকিৎসক জাবেদ ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাশেমের ছেলে। তাঁর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রেশন নেই। তাঁর দাবি, তিনি কলকাতায় ডাক্তারি পড়ালেখা করেছেন।
নিহত কিশোরীর বাবা নবীন উদ্দিন জানান, বুধবার দুপুরে নওশিনের জ্বর আসে। তখন রামচন্দ্রপুরপাড়ার ডাক্তার জাবেদের চেম্বারে নিয়ে গেলে তিনি চিকিৎসা দিয়ে আবার বৃহস্পতিবার আসতে বলেন। বৃহস্পতিবার এলে শ্বাসকষ্ট আছে বলে তিনি একটি ইনজেকশন দেন। এর পর মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন ওই ডাক্তার হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাঁর কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে।