ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবরে গাজাজুড়ে উল্লাস

ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে ১৫ মাসের যুদ্ধের পর অবশেষে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি জিম্মি এবং ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গাজায় আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে ফিলিস্তিনিরা।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল–থানি যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি ১৯ জানুয়ারি, রোববার থেকে কার্যকর হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। হামাসের কাছে এখনো ৯৪ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে, যার মধ্যে ৩৪ জন নিহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কাতার ছিল প্রধান মধ্যস্থতাকারী। বিবিসির গাজা সংবাদদাতা রুশদি আবু আলোফ জানান, এই চুক্তি গাজার লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গাজার দক্ষিণ শহর খান ইউনিস এবং মধ্য গাজার দেইর-আল বালাহ এলাকায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উল্লাসে মেতে ওঠে। এদিকে, তেল আবিবেও জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তির আনন্দে সমবেত হন।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তির বিষয়ে বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি হয়েছে এবং তারা শিগগিরই মুক্তি পাবে।’ তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানিয়েছে, চুক্তির কিছু বিষয় এখনও মীমাংসিত হয়নি, তবে তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সূত্র: আল-জাজিরা

ট্যাগস

ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবরে গাজাজুড়ে উল্লাস

আপডেট সময় ১১:০৩:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে ১৫ মাসের যুদ্ধের পর অবশেষে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি জিম্মি এবং ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গাজায় আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে ফিলিস্তিনিরা।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল–থানি যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি ১৯ জানুয়ারি, রোববার থেকে কার্যকর হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। হামাসের কাছে এখনো ৯৪ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে, যার মধ্যে ৩৪ জন নিহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কাতার ছিল প্রধান মধ্যস্থতাকারী। বিবিসির গাজা সংবাদদাতা রুশদি আবু আলোফ জানান, এই চুক্তি গাজার লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গাজার দক্ষিণ শহর খান ইউনিস এবং মধ্য গাজার দেইর-আল বালাহ এলাকায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উল্লাসে মেতে ওঠে। এদিকে, তেল আবিবেও জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তির আনন্দে সমবেত হন।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তির বিষয়ে বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি হয়েছে এবং তারা শিগগিরই মুক্তি পাবে।’ তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানিয়েছে, চুক্তির কিছু বিষয় এখনও মীমাংসিত হয়নি, তবে তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সূত্র: আল-জাজিরা