পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় বাদাম বিক্রেতাকে গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক কেএম বাচ্চু ও তার বাবা ইউনুস খলিফাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা ও পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার এবং শ্রমিক দলের সদস্য শহীদুল ইসলাম, আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আহত সাংবাদিক বাচ্চু।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সাংবাদিক ও তার বাবাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর বাবা ইউনুস খলিফা রাত ৮টার দিকে কুয়াকাটার চৌরাস্তায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী হোসেন। বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। এ নিয়ে ইউনুস খলিফা প্রতিবাদ করলে তাকেও গালিগালাজ শুরু করেন আলী হোসেন।
বাবাকে অপমানের কথা শুনে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে গিয়ে কারণ জানতে চাইলে পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা ও আলী হোসেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দলীয় নেতাকর্মী তাকে মারধর শুরু করেন। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বাচ্চুর বাবাকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে কুয়াকাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ব্যাপারে জানতে কুয়াকাটা পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া গেছে।পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা বলেন, ‘আমি ওখানে গিয়ে দেখি সাংবাদিক বাচ্চুকে মারধর করা হচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার ওপর হামলা চালান। এতে আমি আহত হয়েছি। বর্তমানে কুয়াকাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসেছি।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’