কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক বোতলের পানির পরিবর্তে বিকল্প উপায়ে খাবার পানি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এটিএম কার্ডের আদলে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া যাবে বিশুদ্ধ খাবার পানি। পাশাপাশি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যদিয়ে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যুগেও প্রবেশ করতে যাচ্ছে নারকেল জিঞ্জিরাখ্যাত প্রবাল দ্বীপটি।
সেন্টমার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংকের অনুদানে বিশেষ এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বর্তমানে দ্বীপে প্রায় দুই হাজার পরিবারের আট হাজার মানুষের প্রতিদিন চার টন পয়োবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে।
এছাড়া পর্যটন মৌসুমের তিন মাসে প্রতিদিন দুই হাজার পর্যটকের চার হাজার প্লাস্টিকের বোতল, চিপসসহ অন্যান্য প্লাস্টিক-পলিথিনের প্যাকেটজাত নিত্যপণ্যের বর্জ্যও যুক্ত হচ্ছে। এ বিবেচনা থেকে পয়োবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সংস্থাটি। প্রকল্পটি আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় বৃষ্টি, মাটির গভীরের ও উপরের পানি পরিশোধন করে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের পানি সরবরাহের কথা জানান কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবুল মনজুর। এর আগে প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চালু করে সফলতা আসে বলেও জানান তিনি।