আটকের পর গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানা থেকে “আওয়ামী লীগের এক নেতাকে” ছাড়িয়ে নিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৮টার পর এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল শিকদারকে (৩৮) পুলিশ আটক করে। আটকের পর জামায়াতের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা প্রাঙ্গণে যান এবং শফিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান।এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল বারী থানার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “দল করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। দল করার কারণে নিরীহ কাউকে গ্রেপ্তার করে থানায় এনে নির্যাতন করা যাবে না। এজন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই। প্রত্যেক নাগরিকরা যেন নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে সেজন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে।”
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ সময় জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে থানার সামনে জড়ো হয়।”
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আটক শফিকুল সিকদার ২০১৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এ কারণে তিনি পরে জামায়াতের ফরম পূরণ করে আমাদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।”
মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, “অন্য একটি দলের নেতারা তাকে তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাদের দলে যোগ না দেওয়ার কারণে তারা তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে তার বিষয়ে কথা বলার জন্য জামায়াতের স্থানীয় নেতারা থানায় গিয়েছেন।”
এদিকে ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে ২৩ নম্বর ক্রমিকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আটক শফিকুল সিকদারের নাম রয়েছে।