বন্ধ থাকা সব বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।এ সময় আদালত বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে বন্ধ থাকা সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দ্রুত যেন উৎপাদনে যেতে পারে, সে বিষয়ে পক্ষে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কুইক রেন্টাল-সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারার অধীনে কোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন।ফলে ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রহিত করা হয়েছে। এখন সরকার চাইলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে।রায়ে আদালত বলেন, ‘দায়মুক্তি দিয়ে করা আইন অবৈধ এবং ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যক্তির একক ক্ষমতা গণতান্ত্রিক দেশে থাকতে পারে না। এটি সংবিধানের পরিপন্থি।’
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক।কুইক রেন্টাল লুটপাটের বিশেষ বিধান আইন ছিল বলে মন্তব্য করে শাহদীন মালিক বলেন, কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি অবৈধ ছিল বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। কুইক রেন্টালের বিশেষত্ব হলো বিদ্যুৎ সরবরাহ না করলেও চুক্তির পুরো টাকা পাবে। লুটপাটকে আইনি ভিত্তি দেয়া হয়েছিল এ আইনের মাধ্যমে।দেশ ও জনগণের স্বার্থে বন্ধ থাকা সব বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দ্রুত যেন উৎপাদনে যেতে পারে সে বিষয়ে পক্ষে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া সরকার চাইলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনাও করতে পারবে বলেও জানান এই আইনজীবী।এর আগে গত ৭ নভেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।এর আগে, কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি এবং ক্রয় সংক্রান্ত ৬(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।