নওগাঁ শহরে সিসি ক্যামেরা নেই বাড়ছে অপরাধ। নওগাঁ শহরে হরহামেশাই ঘটছে চুরি ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা। কিন্ত সিসি ক্যামরা না থাকায় অপরাধীকে সনাক্ত করতে ঘাম ঝড়ছে আইন শৃংখলা বাহিনীর। ৫ বছর আগে কিছু জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও তা নষ্ট হয়ে ঝুলছে তারে। অরক্ষিত শহরকে প্রযুক্তির আওতায় আনার বাদী ব্যবসায়ীদের।
অস্ত্রহাতে ৬জন ডাকাত দল গৃহকর্তা কে জিম্মি করে বাসার ভেতরে নেয়। এরপর টাকা সোনা সহ মুল্যবান জিনিস পত্র লুট করে নিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা সম্প্রতি নওগাঁর কালিতলা এলাকায় । ব্যাক্তিগত ভাবে বাসায় লাগানো সিসি টিভিতে এ ঘটনা সনাক্ত করা গেলেও শহরের অনেক অপরাধের হদিশ করতে ঘাম ঝড়ছে আইন শৃংখলা বাহিনীর। ২০১৭ সালে স্থানীয় চেম্বারের উদ্যেগে শহরের গুরুত্ব পুর্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরার লাগানো হয় । তবে বেশি দিন টিকেনি সে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নজরদারী না থাকায় খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
যে কয়েকটা রয়েছে বিদ্যৎ পোলে, তা এখন ছেঁড়া তারে ঝুঁলছে। এদিকে শহরের অলিতে গলিতে হরহামেশাই ঘটছে চুরি, ছিনতাই, সেই সঙ্গে বেড়েছে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং ঘটনাও। একজন শিক্ষার্থী জানান, শহরের কলেজ গেটের সামনে হরহামেসা ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে । এসব সনাক্তের জন্য গুরুত্ব পুর্ন মোড়ে সিসি ক্যামরা বসানো খুব দরকার। সোহাগ নামের একজন আইটি ব্যবসায়ী বলেন, আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছি। শহরটাকে নিরাপদ করা দরকার । এ অবস্থায় প্রযুক্তি ছোঁয়ার বাইরে থাকা এ শহরকে অরক্ষিত বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা।ড্রাগিষ্ট এন্ড কেমষ্টি সমিতি সভাপতি মো: আতাউর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি প্রশাসনের সাথে তারা আশ্বাসে দিন পার করছে।
নওগাঁ অটো রাইস মিল সমিতি সভাপতি মো: তৌফিকুল ইসলাম বাবু এদিকে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিয়ে পুরো শহরকে সিসি ক্যামেরার নিরাপত্তায় আনার আশ্বাস জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তার। পুলিশ সুপার মো: কুতুব উদ্দিন বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে যত দ্রত নিরাপত্তার মধ্যে শহর কে আনা যায় তার প্রদক্ষেপ নিচ্ছি । জেলা পুলিশের তথ্য বলছে শহরে মাসে অন্তত ৮ থেকে ১০ টি চুরি ছিনতাই সহ নিত্য ইভটিজিংএর মতো ঘটনা মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাদের। ৩৮ বর্গমাইলের এ শহরে ছোট প্রায় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সাড়ে ৬ হাজার । চুরি ছিনতাই ডাকাতির মতো নানা অপরাধের লাগান টানতে এ শহরকে কে দ্রত প্রযুক্তির আওতায় আনার দাবী জেলা বাসীর ।