একসময় বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান প্রতিদিন শুধু খেতেন ব্ল্য়াক কফি আর কাবাব। সেই সঙ্গে থাকত একের পর এক সিগারেট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছিলেন তিনি নাকি দিনে ১০০টির বেশি সিগারেট খান। সেই শাহরুখই ৫৯-এর জন্মদিনে দিলেন বড় ঘোষণা। জন্মদিনে ফ্যানদের সাক্ষী রেখে জানালেন— তিনি আর ধূমপান করছেন না।শাহরুখ বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম— ধূমপান ছেড়ে দিলে হয়তো শ্বাস নিতে কষ্ট হবে। কিন্তু তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, হঠাৎ করে এত বড় বদল আসায় একটু অসুবিধা হচ্ছে।
আশা করছি, সেই সমস্যাও তাড়াতাড়ি কেটে যাবে।শাহরুখ খানের জন্মদিন মানেই প্রাসাদোপম মান্নাতের বাইরে জনজোয়ার। প্ল্যাকার্ড, ফুল, কেক হাতে আকাশে-বাতাসে শুধুই ‘শাহরুখ… শাহরুখ’ গগনভেদী চিৎকার! বাদশার ৫৯তম জন্মদিনেও সেই একই দৃশ্য।এদিকে বান্দ্রার রাস্তায় জনতার ঢল। শুক্রবার মাঝরাত থেকেই ‘পীঠস্থান’ মান্নাতের বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেন শাহরুখ অনুরাগীরা। প্রতিবার ঈদ আর জন্মদিনে নিয়ম করে মান্নাতের ছাদে উঠে ভক্তদের দর্শন দেন তিনি। গত তিন দশকের এই রেওয়াজে কোভিডকাল ছাড়া ছেদ পড়েনি! তবে এবারের জন্মদিনেও প্রথা ভাঙলেন বাদশাহ।
মান্নাতের ছাদে নয়, বরং ভক্তদের সঙ্গে একান্তে জন্মদিন পালন করলেন কিং খান। সে রকম কোনো আড়ম্বর নেই। সাদামাটা পোশাকেই পৌঁছে গেলেন মান্নাতের অনতিদূরে বান্দ্রার বালগন্ধর্ব রঙ মন্দিরে। তবে সাজপোশাক যেমনই হোক, বাদশাহ ম্যাজিক বলে কথা! তিনি মঞ্চে উঠতেই যেন দিনভর অপেক্ষারত ভক্তরা চাঙ্গা হয়ে উঠলেন। শাহরুখের উপস্থিতিই তাদের কাছে টনিকের মতো কাজ করল। সেই অনুষ্ঠানে নাচতেও দেখা গেল এ অভিনেতাকে। শাহরুখ খানের এক ফ্যানক্লাবের তরফেই অবশ্য আয়োজন করা হয়েছিল এ অনুষ্ঠানের। তাদের নিরাশ করেননি কিং খান।
অন্যদিকে মান্নাতের সামনে দিনভর দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তদের হৃদয় একেবারে খান-খান! কারণ সারাদিনের অপেক্ষার পরও শাহরুখের দর্শন পাননি তারা।কিং খানের ওই ফ্যানক্লাব থেকেই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ঝলক প্রকাশ করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই এক শাহরুখ ভক্ত চীন থেকে মুম্বাইতে এসেছেন তার সঙ্গে দেখা করার জন্য।জানা গেছে, এবার মেয়ে সুহানা নাকি বাবার জন্য বিশেষভাবে জন্মদিনের আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পরই সম্ভবত সেই সেলিব্রেশনে যোগ দেবেন তিনি। তাই রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বলাই যায়, ‘পিচকার অভি বাকি হ্যায়…।