ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপূজায় বাধা এলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি ধর্ম উপদেষ্টার

  • স্টাফ রিপোটার :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬৪৪ Time View

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন দুর্গা পূজা আয়োজনে কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এবারের পূজার নিরাপত্তায় আকাশে হেলিকপ্টার টহল থাকবে বলেও জানান তিনি।মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে পূজার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘পূজায় কোনো দুষ্কৃতকারী বাধা সৃষ্টি করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। বিজয় দশমীর দিন আকাশে হেলিকপ্টার ও পানিতে ডুবুরি থাকবে।’খালিদ হোসেন জানান, ‘দুর্গাপূজায় প্রধান উপদেষ্টা চার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে অসচ্ছল মণ্ডপগুলোতে এই টাকা বিতরণ করা হবে। প্রতি পূজা মণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হতো। আমার মন্ত্রণালয় থেকে আরও ২০০ কেজি বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।’

এসময় পূজা কমিটি চাইলে মাদরাসার ছাত্ররা দুর্গাপূজায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা। এছাড়া অতীতে বিশেষ করে ২০২১ সালে শারদীয় দুর্গোৎসবে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর বিচারের আশ্বাসও দেন ধর্ম উপদেষ্টা। অন্যদিকে পূজা মণ্ডপে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজার সময় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, ‘এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটি হলো স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা। এবারের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ একটু আলাদা হবে। বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিককে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। যেমন ধরুন- স্বেচ্ছাসেবক (ক) রাত একটা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত, স্বেচ্ছাসেবক (খ) রাত তিনটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। তাদের সংখ্যা সর্বনিম্ন রাতে তিনজন এবং দিনে দুজন হবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে যানজট নিরসনেও।’ এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- আযান এবং নামাজের সময় মাইক বা বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখা।’

দূর্গাপূজার সময় প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের সীমানা পেরিয়ে যাওয়া-আসা না করতে আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পূজার সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, যেহেতু আমাদের লোক যাওয়া-আসা করে এপারের লোক ওপারে পূজা দেখতে যায়, আবার ওপারের লোক এপারে পূজা দেখতে আসে।’ তিনি অনুরোধ করেন, ‘এবার আপনারা বর্ডার বেল্টে ভালো ভালো পূজা মণ্ডপ করেন। যাতে আমাদের লোক ওপারে না যায় পূজা দেখার জন্য। ওপারের লোকও যেন এপারে না আসে, এটার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, এ বছর সারা দেশে দুর্গাপূজায় মণ্ডপের সম্ভাব্য সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৬৬টি। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫৭টি এবং উত্তর সিটিতে ৮৮টি মণ্ডপ হবে।

ট্যাগস

দুর্গাপূজায় বাধা এলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি ধর্ম উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৫:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন দুর্গা পূজা আয়োজনে কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এবারের পূজার নিরাপত্তায় আকাশে হেলিকপ্টার টহল থাকবে বলেও জানান তিনি।মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে পূজার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘পূজায় কোনো দুষ্কৃতকারী বাধা সৃষ্টি করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। বিজয় দশমীর দিন আকাশে হেলিকপ্টার ও পানিতে ডুবুরি থাকবে।’খালিদ হোসেন জানান, ‘দুর্গাপূজায় প্রধান উপদেষ্টা চার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে অসচ্ছল মণ্ডপগুলোতে এই টাকা বিতরণ করা হবে। প্রতি পূজা মণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হতো। আমার মন্ত্রণালয় থেকে আরও ২০০ কেজি বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।’

এসময় পূজা কমিটি চাইলে মাদরাসার ছাত্ররা দুর্গাপূজায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা। এছাড়া অতীতে বিশেষ করে ২০২১ সালে শারদীয় দুর্গোৎসবে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর বিচারের আশ্বাসও দেন ধর্ম উপদেষ্টা। অন্যদিকে পূজা মণ্ডপে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজার সময় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, ‘এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটি হলো স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা। এবারের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ একটু আলাদা হবে। বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিককে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। যেমন ধরুন- স্বেচ্ছাসেবক (ক) রাত একটা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত, স্বেচ্ছাসেবক (খ) রাত তিনটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। তাদের সংখ্যা সর্বনিম্ন রাতে তিনজন এবং দিনে দুজন হবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে যানজট নিরসনেও।’ এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- আযান এবং নামাজের সময় মাইক বা বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখা।’

দূর্গাপূজার সময় প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের সীমানা পেরিয়ে যাওয়া-আসা না করতে আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পূজার সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, যেহেতু আমাদের লোক যাওয়া-আসা করে এপারের লোক ওপারে পূজা দেখতে যায়, আবার ওপারের লোক এপারে পূজা দেখতে আসে।’ তিনি অনুরোধ করেন, ‘এবার আপনারা বর্ডার বেল্টে ভালো ভালো পূজা মণ্ডপ করেন। যাতে আমাদের লোক ওপারে না যায় পূজা দেখার জন্য। ওপারের লোকও যেন এপারে না আসে, এটার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, এ বছর সারা দেশে দুর্গাপূজায় মণ্ডপের সম্ভাব্য সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৬৬টি। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫৭টি এবং উত্তর সিটিতে ৮৮টি মণ্ডপ হবে।