ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেওয়া যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা

সহজে এক হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে মনে করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ নিয়ে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছুই বলা ঠিক নয়। এটা থাক। এতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা। এ নিয়ে গুজব আছে কি না জানতে চাইলে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার দিক থেকে কিছু বলিনি। সুতরাং, গুজব কি না আমি মন্তব্য করব না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাপার।’ 

আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা কীভাবে কমাবেন, তা জানতে চাইলে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটা বড় চাপ। প্রচণ্ড চাপ। উন্নয়ন সহযোগীদেরও বলতে হবে যে এটা বড় চাপ। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি। সতর্ক আছি। নিজেদের মধ্যেও এ নিয়ে কথা হচ্ছে। এত বড় ঋণের বোঝা নিয়ে শুরু করেছি, আমাদের জন্য খুব কঠিন। ঋণ ফেরত দেওয়ার বিষয় আছে। এগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।’

আগের সরকার কিছু সমস্যা তৈরি করে রেখেছে অভিযোগ করে উপদেষ্ট বলেন, ‘অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যেগুলো না নিলেও চলত। আমাদের ওপর ঋণের বোঝা পড়েছে। এগুলো দুঃখজনক।’চীন থেকে নেওয়া ঋণের সুদহার কমানো ও পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয়গুলো চলমান থাকবে। অনুরোধ করেছি যেন তাঁরা কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা চালিয়ে নিয়ে যান। তাঁরা নিশ্চিত করেছেন, এ ক্ষেত্রে সাধারণত যতটুকু সহায়তা করা হয়, তার চেয়ে বেশি করা হবে।’ উচ্চ সুদে নেওয়া চীনা ঋণের বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সুদের হার নিয়ে কথা বলেছি। তিনি (রাষ্ট্রদূত) বলেছেন দেখবেন। ঋণ পরিশোধের (রি-পেমেন্ট) সময়সীমা আরও ১০ বছর বাড়ানোর জন্য বলেছি।’

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

১ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেওয়া যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:২৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

সহজে এক হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে মনে করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ নিয়ে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছুই বলা ঠিক নয়। এটা থাক। এতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা। এ নিয়ে গুজব আছে কি না জানতে চাইলে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার দিক থেকে কিছু বলিনি। সুতরাং, গুজব কি না আমি মন্তব্য করব না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাপার।’ 

আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা কীভাবে কমাবেন, তা জানতে চাইলে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটা বড় চাপ। প্রচণ্ড চাপ। উন্নয়ন সহযোগীদেরও বলতে হবে যে এটা বড় চাপ। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি। সতর্ক আছি। নিজেদের মধ্যেও এ নিয়ে কথা হচ্ছে। এত বড় ঋণের বোঝা নিয়ে শুরু করেছি, আমাদের জন্য খুব কঠিন। ঋণ ফেরত দেওয়ার বিষয় আছে। এগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।’

আগের সরকার কিছু সমস্যা তৈরি করে রেখেছে অভিযোগ করে উপদেষ্ট বলেন, ‘অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যেগুলো না নিলেও চলত। আমাদের ওপর ঋণের বোঝা পড়েছে। এগুলো দুঃখজনক।’চীন থেকে নেওয়া ঋণের সুদহার কমানো ও পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয়গুলো চলমান থাকবে। অনুরোধ করেছি যেন তাঁরা কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা চালিয়ে নিয়ে যান। তাঁরা নিশ্চিত করেছেন, এ ক্ষেত্রে সাধারণত যতটুকু সহায়তা করা হয়, তার চেয়ে বেশি করা হবে।’ উচ্চ সুদে নেওয়া চীনা ঋণের বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সুদের হার নিয়ে কথা বলেছি। তিনি (রাষ্ট্রদূত) বলেছেন দেখবেন। ঋণ পরিশোধের (রি-পেমেন্ট) সময়সীমা আরও ১০ বছর বাড়ানোর জন্য বলেছি।’