ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ
গত বারের চেয়ে মনপ্রতি ৫শ টাকা বেশি

নওগাঁয় পাট চাষীদের মুখে হাসি

 

নওগাঁয় পাট চাষীদের মুখে এবার এসেছে সোনালী হাসি। চলতি বছর অনুকূল আবহাওয়া থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে নতুন পাট উঠতে না উঠতেই দ্বিগুন দাম বিক্রি হচ্ছে । সার ও ভালো বীজের সহজলভ্যতা ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, বিদেশে পাটের সুতার চাহিদা বেড়ে যাওয়াই চলতি বছর বাজারে পাটের বেশ কদর বেড়েছে। কয়েক বছর যাবত প্রতিমণ পাট (৪০ কেজি) ১৫শ’ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা দরে থাকলেও চলতি বছর শুরুতেই মানভেদে সাড়ে তিন হাজার হতে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চলতি বছর বাজারে শুরুতেই এমন দাম দেখে সোনালী আঁশের সু-দিন ফিরতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।

পাট কাটা শেষ হয়েছে এক মাস আগে। এখন আঁশ ছড়ানো ও শুকানো চলছে পুরোদমে। বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পাট। দাম মোটামুটি ভাল থাকায় এবারে চাষিদের লাভের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।চলতি মৌসুমে পাটের ভাল ফলনের পাশাপাশি বাজারে উচ্চ মূল্য পাওয়ায় হাসি ফিরেছে জেলার চাষিদের। শুরুতে বৃষ্টি কম হওয়ায় পাট জাগ দিতে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল এ অঞ্চরের পাট চাষিদের। বর্তমানে সব বাঁধা কাটিয়ে বেশি দামে পাট বিক্রি করতে পেরে বেশ ভীষণ আনন্দিত চাষিরা। ফলে দীর্ঘ অপেক্ষায় হাসি ফিরেছে সোনালী আঁশে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ জেলায় মোট ৩ হাজার ৫’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। মূলত দেশী, তোষা এবং মেস্তা- এ তিন জাতের পাট চাষ করেছেন জেলার কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলার নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৫০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ১৩৫ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ৫৭৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১২০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ৭৫ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ৮৫৫ হেক্টর এবং মান্দা উপজেলায় একহাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে । তবে, জেলার সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় কোন পাট চাষ হয়নি।

জেলায় দুইহাজার হেক্টর জমির পাট কাটা সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৫ হাজার ৫’শ’ ৫০ মেট্রিক টন বা

একলাখ ৩৮ হাজার ৭৫০ মন পাট উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মওসুমে জেলার দুইহাজার প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে একবিঘা জমির বিপরীতে জনপ্রতি এককেজি করে পাট বীজ দেয়া হয়েছে।

পাট ব্যবসায়ী মাসুদ রানা জানান, গত বছর প্রতি মন পাট বিক্রি হয়েছে ৮০০-১২০০ টাকায়। পাট উঠার শুরুর সময় তা বেড়ে ১৫০০-২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার বছর শুরুতে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মন পাট বিক্রি হচ্ছে। এবং বাজারে আগের তুলনায় বর্তমানে চাহিদাও বেশি। কারণ বিশ্ব বাজারে সুতার দাম বেড়েছে, তাই পাটের দাম বেড়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পাট চাষের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার আবাদ ভালো হয়েছে। উৎপাদনও ভালো হচ্ছে বলে আশা করছি। বর্তমানে পাটের যে বাজারদর তা ঠিক থাকলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সোনালি আঁশের সুদিন ফিরবে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে পাটের আবাদ হবে।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

গত বারের চেয়ে মনপ্রতি ৫শ টাকা বেশি

নওগাঁয় পাট চাষীদের মুখে হাসি

আপডেট সময় ০৫:৫৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

 

নওগাঁয় পাট চাষীদের মুখে এবার এসেছে সোনালী হাসি। চলতি বছর অনুকূল আবহাওয়া থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে নতুন পাট উঠতে না উঠতেই দ্বিগুন দাম বিক্রি হচ্ছে । সার ও ভালো বীজের সহজলভ্যতা ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, বিদেশে পাটের সুতার চাহিদা বেড়ে যাওয়াই চলতি বছর বাজারে পাটের বেশ কদর বেড়েছে। কয়েক বছর যাবত প্রতিমণ পাট (৪০ কেজি) ১৫শ’ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা দরে থাকলেও চলতি বছর শুরুতেই মানভেদে সাড়ে তিন হাজার হতে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চলতি বছর বাজারে শুরুতেই এমন দাম দেখে সোনালী আঁশের সু-দিন ফিরতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।

পাট কাটা শেষ হয়েছে এক মাস আগে। এখন আঁশ ছড়ানো ও শুকানো চলছে পুরোদমে। বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পাট। দাম মোটামুটি ভাল থাকায় এবারে চাষিদের লাভের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।চলতি মৌসুমে পাটের ভাল ফলনের পাশাপাশি বাজারে উচ্চ মূল্য পাওয়ায় হাসি ফিরেছে জেলার চাষিদের। শুরুতে বৃষ্টি কম হওয়ায় পাট জাগ দিতে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল এ অঞ্চরের পাট চাষিদের। বর্তমানে সব বাঁধা কাটিয়ে বেশি দামে পাট বিক্রি করতে পেরে বেশ ভীষণ আনন্দিত চাষিরা। ফলে দীর্ঘ অপেক্ষায় হাসি ফিরেছে সোনালী আঁশে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ জেলায় মোট ৩ হাজার ৫’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। মূলত দেশী, তোষা এবং মেস্তা- এ তিন জাতের পাট চাষ করেছেন জেলার কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলার নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৫০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ১৩৫ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ৫৭৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১২০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ৭৫ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ৮৫৫ হেক্টর এবং মান্দা উপজেলায় একহাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে । তবে, জেলার সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় কোন পাট চাষ হয়নি।

জেলায় দুইহাজার হেক্টর জমির পাট কাটা সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৫ হাজার ৫’শ’ ৫০ মেট্রিক টন বা

একলাখ ৩৮ হাজার ৭৫০ মন পাট উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মওসুমে জেলার দুইহাজার প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে একবিঘা জমির বিপরীতে জনপ্রতি এককেজি করে পাট বীজ দেয়া হয়েছে।

পাট ব্যবসায়ী মাসুদ রানা জানান, গত বছর প্রতি মন পাট বিক্রি হয়েছে ৮০০-১২০০ টাকায়। পাট উঠার শুরুর সময় তা বেড়ে ১৫০০-২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার বছর শুরুতে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মন পাট বিক্রি হচ্ছে। এবং বাজারে আগের তুলনায় বর্তমানে চাহিদাও বেশি। কারণ বিশ্ব বাজারে সুতার দাম বেড়েছে, তাই পাটের দাম বেড়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পাট চাষের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার আবাদ ভালো হয়েছে। উৎপাদনও ভালো হচ্ছে বলে আশা করছি। বর্তমানে পাটের যে বাজারদর তা ঠিক থাকলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সোনালি আঁশের সুদিন ফিরবে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে পাটের আবাদ হবে।