নওগাঁয় ‘যৌক্তিক’ বেঁধে দেয়া মূল্যে অপারগতা প্রকাশ করে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তবে দু’একজন বিক্রেতাকে ফ্রিজের বাসী মাংস শর্ত সাপেক্ষে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য ৬৬৫ টাকা কেজি দরে লোকসান দিয়ে মাংস বিক্রি করা তাদের পক্ষে সম্ভব না।
মাংস ব্যবসায়ীরা গত সোমবার জেলা প্রশাসকের নিকট দেখা করে কিছুটা বেশী মূল্যে বিক্রি করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা তাঁদের বলেন যে, পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষদের ক্রয় ক্ষমতা সহজ করতে সরকার ‘যৌক্তিক’ এই মুল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার বা করার নাই।
ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে ফিরে এসে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নওগাঁ শহরের পার নওগাঁ এলাকার আশিক হোসেন সরদার বলেন, বাসায় মেহমান এসেছেন, গরুর মাংস আনতে হবে। এদিকে দাম আকাশচুম্বী, প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা। তারপরেও বাজারে এসে দেখি গরুর মাংসের দোকান বন্ধ। এখন বাসায় ফিরে গিয়ে কি বলব, মেহমানরা বা কি মনে করবে।’
এদিকে দু’একজন ব্যবসায়ীকে ফ্রিজের বাসী মাংস প্রতি কেজি’তে কমপক্ষে ২শ গ্রাম তেল, নির্দিষ্ট পরিমাণ হাড় দেয়ার শর্তে ৬৬৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
দুপুর থেকে গরু জবাই এবং মাংস বিক্রি সম্পূর্নভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে অবস্থানরত মাংস বিক্রেতা ক জন বলেন, বেশী মূল্যে গরু কেনা, কর্মচারী খরচ ইত্যাদি কারনে সাড়ে ৭শ টাকা কেজি’র নিচে মাংস বিক্রি করা কোনক্রমেই সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে জবাই এবং বিক্রি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
নওগাঁ শহরের মাস্টার পাড়া এলাকার বাসিন্দা মিলন হক বলেন, বাসায় মেহমান এসেছেন, গরুর মাংস আনতে হবে। এদিকে দাম আকাশচুম্বী, প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা। তারপরেও বাজারে এসে দেখি গরুর মাংসের দোকান বন্ধ। এখন বাসায় ফিরে গিয়ে কি বলব, মেহমানরা বা কি মনে করবে।’
এদিকে দু’একজন ব্যবসায়ীকে ফ্রিজের বাসী মাংস প্রতি কেজি’তে কমপক্ষে ২শ গ্রাম তেল, নির্দিষ্ট পরিমাণ হাড় দেয়ার শর্তে ৬৬৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।