ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাত পোহালে ভোট

নৌকার উন্নয়নে নৌকায় রায় দিবেন ভোটাররা

গত ৭ জানুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পত্নীতলা- ধামইরহাট নওগাঁ-৪৭ – ২ এর একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারনে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিত করে।

পরবর্তীতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩০০ আসনের মধ্যে বাদ পরা এই একটি মাত্র আসন, যা এই নওগাঁ ৪৭/২ সংসদ সদস্য নির্বাচন।
জনগনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ব্যপক চাঞ্চলতা লক্ষ্য করা গেছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পত্নীতলা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৯৯ হাজার ২৭১ এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৯৯ হাজার ৮৪৬ জন।অপরদিকে ধামইরহাট উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৭৮ হাজার ৩ শত ১ জন , মহিলা ৭৮ হাজার ৭ শত ১৩ জন এবং হিজরা ১ জন।

ধামইরহাট ও পত্নীতলা আসনে এবার নির্বাচনী প্রতিযোগিতা করছেন টানা ১৫ বছর ধরে সংসদ সদস্য হিসেবে থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী এডভোকেট মো: শহীদুজ্জামান সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক আক্তারুল আলম,। জাতীয় পার্টি থেকে তোফাজ্জল হোসেন ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা মাহমুদ রেজা।

এ আসনে ১৯৯১ সাল হতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচিত হন শহীদুজ্জামান সরকার পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

গত কয়েকদিন এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, এলাকার মানুষদের মুখে শহিদুজ্জামান সরকারের অত্র এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য ব্যাপক প্রশংসা। অন্যদিকে স্বতন্ত্র হিসাবে যারা লড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভোটারদের অভিযোগ , তারা এলাকায় থাকেন না, শুধু ভোটের সময় তাদের দেখা যায়। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয়। নজিপুর পৌরসভা এলাকার ভোটার আতাউর রহমান বলেন, শহীদুজ্জামান সরকার এক কথায় ভালো লোক। এলাকার উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন কিন্তু তার কিছু নেতার উদ্ভট আচরণের কারণে এই ভোটে তার কিছু প্রভাব পড়েছে।

চায়ের দোকানগুলিতে এখন নির্বাচন নিয়েই আলোচনা কেই বলছেন  উন্নয়ন ধরে রাখতে নৌকাকেই সাথে রাখতে হবে,
আবার কেউ বলছেন নৌকার প্রার্থীর কিছু খারাপ কাজ রয়েছে  সে কারণে ট্রাকের ভোট কিছুটা বাড়বে।

তবে তরুণ প্রজন্মরা উন্নয়ন ধরে রাখতে শহিদুজ্জামান সরকারকে বেঁচে নিবেন বলে অনেকে মত পোষন করেন ।

ট্যাগস

রাত পোহালে ভোট

নৌকার উন্নয়নে নৌকায় রায় দিবেন ভোটাররা

আপডেট সময় ০৭:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গত ৭ জানুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পত্নীতলা- ধামইরহাট নওগাঁ-৪৭ – ২ এর একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারনে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিত করে।

পরবর্তীতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩০০ আসনের মধ্যে বাদ পরা এই একটি মাত্র আসন, যা এই নওগাঁ ৪৭/২ সংসদ সদস্য নির্বাচন।
জনগনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ব্যপক চাঞ্চলতা লক্ষ্য করা গেছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পত্নীতলা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৯৯ হাজার ২৭১ এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৯৯ হাজার ৮৪৬ জন।অপরদিকে ধামইরহাট উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৭৮ হাজার ৩ শত ১ জন , মহিলা ৭৮ হাজার ৭ শত ১৩ জন এবং হিজরা ১ জন।

ধামইরহাট ও পত্নীতলা আসনে এবার নির্বাচনী প্রতিযোগিতা করছেন টানা ১৫ বছর ধরে সংসদ সদস্য হিসেবে থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী এডভোকেট মো: শহীদুজ্জামান সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক আক্তারুল আলম,। জাতীয় পার্টি থেকে তোফাজ্জল হোসেন ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা মাহমুদ রেজা।

এ আসনে ১৯৯১ সাল হতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচিত হন শহীদুজ্জামান সরকার পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

গত কয়েকদিন এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, এলাকার মানুষদের মুখে শহিদুজ্জামান সরকারের অত্র এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য ব্যাপক প্রশংসা। অন্যদিকে স্বতন্ত্র হিসাবে যারা লড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভোটারদের অভিযোগ , তারা এলাকায় থাকেন না, শুধু ভোটের সময় তাদের দেখা যায়। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয়। নজিপুর পৌরসভা এলাকার ভোটার আতাউর রহমান বলেন, শহীদুজ্জামান সরকার এক কথায় ভালো লোক। এলাকার উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন কিন্তু তার কিছু নেতার উদ্ভট আচরণের কারণে এই ভোটে তার কিছু প্রভাব পড়েছে।

চায়ের দোকানগুলিতে এখন নির্বাচন নিয়েই আলোচনা কেই বলছেন  উন্নয়ন ধরে রাখতে নৌকাকেই সাথে রাখতে হবে,
আবার কেউ বলছেন নৌকার প্রার্থীর কিছু খারাপ কাজ রয়েছে  সে কারণে ট্রাকের ভোট কিছুটা বাড়বে।

তবে তরুণ প্রজন্মরা উন্নয়ন ধরে রাখতে শহিদুজ্জামান সরকারকে বেঁচে নিবেন বলে অনেকে মত পোষন করেন ।