নওগাঁয় পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটির প্রার্থী প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। আর বাকি দুটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যরাই ফের নির্বাচিত হয়েছেন।
এর মধ্যে নওগাঁ-১ সাপাহার পোরশা নিয়ামতপুর : ও নওগাঁ-৫ আসনে পুরোনোরাই জয়ী হয়েছেন। আর নওগাঁ-৩, নওগাঁ-৪ ও নওগাঁ-৬ আসনে এসেছে নতুন মুখ। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফলে দেখা যায়, নওগাঁ-১(নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) আসনে এক লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ নিয়ে তিনি টানা চতুর্থবার জয়ী হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৯২৯ ভোট।
নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) : আসনে এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দীন তরফদার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট। সলিম উদ্দীন আসনটির দুইবারের এমপি ছিলেন।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) : আসনে ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট।
নওগাঁ-৫ (সদর) : আসনে এক লাখ চার হাজার ৬৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন জলিল জন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৮৪ ভোট। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার জয়ী হলেন জন।
নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই): আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন। তিনি ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট শেষ হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১টি উপজেলায় ছয়টি সংসদীয় আসন। এর মধ্যে নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক গত ২৯ ডিসেম্বর মারা যাওয়ায় ওই আসনটিতে নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এর ফলে পাঁচটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৯ প্রার্থী। এই পাঁচ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ১৫৯ জন। যেখানে ৬৫০টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ১১১টি কক্ষে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।