ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে ১৫ বছর আগে নিখোঁজ হন মুক্তা বেগম ওরফে ঝরনা বেগম (৩৭)। এত বছর পর ভারতের গোয়াহাটিতে এক বন্দিশিবিরে তার সন্ধান মিলেছে। এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আসাম ও বাংলাদেশ সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এক্ষেত্রে তারা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টও জমা দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। ঝরনা বেগম ২০০৮ সালে মোহাম্মদপুরের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এরপর সারাদেশে অনুসন্ধান করে তাকে পাননি পিতা আবদুল আলি ফারাজি। কয়েক বছর আগে তিনি মারা গেছেন। এরপর তার মা অনুসন্ধান বন্ধ করে দেন। বাংলাদেশি একজন জনহিতৈষী কয়েক মাস আগে মুক্তা নিখোঁজ হওয়ার খবর জানতে পারেন। তিনি কলকাতার একজন অপেশাদার রেডিও অপারেটরের সংস্পর্শে আসেন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আমবারিশ নাগ বিশ্বাস বলেন, আমাদের কাছে ছিল ঝরনা বেগমের একটি ছবি এবং পরিচয়পত্র। তা নিয়ে আমাদের নেটওয়ার্ককে এলার্ট করা হয়। কয়েকদিন আগে আমরা গুয়াহাটি থেকে নিশ্চয়তা পাই। বলা হয়, অবৈধ অভিবাসীদের একটি বন্দিশিবিরে সন্ধান পাওয়া গেছে মুক্তা বেগম বা ঝরনা বেগমের।