ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের নির্বাচন বর্জনের স্লোগান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ রোববার সকাল থেকেই ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছে দলটির নেতা-কর্মীরা।

বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের একটি অংশ নির্বাচন বর্জনের দাবি জানিয়ে মিছিল করেছেন। তাঁরা ‘দালালি না রাজপথ’, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়, বর্জন বর্জন’ স্লোগান দিচ্ছেন। এদিকে পুলিশ সদস্যরা বনানীর কার্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলা সোয়া ১১টার দিকে কার্যালয়ে পৌঁছান জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

তাঁর আগে ও পরে কার্যালয়ে আসেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, জিএম কাদের কার্যালয়ে ঢোকার পরপরই গণমাধ্যম কর্মীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক তাঁকে একটু দাঁড়িয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় জিএম কাদের বলেন, ‘ভিক্ষার সিট আমি নেব না।’ এ কথা বলে তিনি তাঁর কক্ষে চলে যান।

ওই সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির নেতারা কার্যালয়ে যাওয়ার পর বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছান। তাঁরা কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে কেউ চেয়ারম্যান এবং কেউ মহাসচিবের কক্ষের ভেতরে, কেউ সামনে অবস্থান নেন।

বেলা একটার দিকে বনানী ১৭ নম্বর সড়কে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সামনে এবং দুই পাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও তৎপরতা দেখা গেছে। নেতা-কর্মীরা তখনো থেমে থেমে বিক্ষোভ করছিলেন।

বনানী কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষ ভেতর থেকে আটকানো। সেখানে কোনো নেতা-কর্মীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিক্ষোভকারীদের একজন মৌলভীবাজার-১ আসনের প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৬ জনকে এমপি (সংসদ সদস্য) বানানোর জন্য জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা হয়নি। যদি ২৬ জনই সমঝোতার নির্বাচনে অংশ নেন, আমরা বাকি সবাই নির্বাচন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করব।’

এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বেলা ১টার পর দলের চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে কি থাকবে না তা আজ রোববার বিকেলে জানাবে দলটি। মুজিবুল হক বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের নির্বাচন বর্জনের স্লোগান

আপডেট সময় ০২:২৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ রোববার সকাল থেকেই ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছে দলটির নেতা-কর্মীরা।

বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের একটি অংশ নির্বাচন বর্জনের দাবি জানিয়ে মিছিল করেছেন। তাঁরা ‘দালালি না রাজপথ’, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়, বর্জন বর্জন’ স্লোগান দিচ্ছেন। এদিকে পুলিশ সদস্যরা বনানীর কার্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলা সোয়া ১১টার দিকে কার্যালয়ে পৌঁছান জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

তাঁর আগে ও পরে কার্যালয়ে আসেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, জিএম কাদের কার্যালয়ে ঢোকার পরপরই গণমাধ্যম কর্মীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক তাঁকে একটু দাঁড়িয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় জিএম কাদের বলেন, ‘ভিক্ষার সিট আমি নেব না।’ এ কথা বলে তিনি তাঁর কক্ষে চলে যান।

ওই সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির নেতারা কার্যালয়ে যাওয়ার পর বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছান। তাঁরা কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে কেউ চেয়ারম্যান এবং কেউ মহাসচিবের কক্ষের ভেতরে, কেউ সামনে অবস্থান নেন।

বেলা একটার দিকে বনানী ১৭ নম্বর সড়কে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সামনে এবং দুই পাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও তৎপরতা দেখা গেছে। নেতা-কর্মীরা তখনো থেমে থেমে বিক্ষোভ করছিলেন।

বনানী কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষ ভেতর থেকে আটকানো। সেখানে কোনো নেতা-কর্মীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিক্ষোভকারীদের একজন মৌলভীবাজার-১ আসনের প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৬ জনকে এমপি (সংসদ সদস্য) বানানোর জন্য জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা হয়নি। যদি ২৬ জনই সমঝোতার নির্বাচনে অংশ নেন, আমরা বাকি সবাই নির্বাচন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করব।’

এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বেলা ১টার পর দলের চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে কি থাকবে না তা আজ রোববার বিকেলে জানাবে দলটি। মুজিবুল হক বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।