তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিতাক্ত হয়। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টি হলেও প্রথম ইনিংসের শেষে দিকে শুুরু হয় বৃষ্টি। ভারত যখন ১৯.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানে ব্যাট করছিল তখনই শুরু হয় বর্ষণ। এরপর বাকি ৩ বল না খেলেই ইনিংস শেষ করে সফরকারী ভারত।
বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১৫ ওভারে ১৫২ রানের লক্ষ্য পায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত গতিতে এগুতে শুরু করে প্রোটিয়াদের ইনিংস। ৭ বলে ১৬ রান করে ওপেনার ম্যাথিউ ব্রিৎজে ফিরলে দলকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটি করেন রিজা হেনরিক্স ও এইডেন মার্করাম।
৩০ বলে ৫৪ রানের জুটি করেন তারা। ২৭ বলে ৪৯ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে সূর্যকুমারের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন হেনরিক্স। ১৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন মার্করাম। এরপর ডেভিড মিলারের ১৭ (১২ বলে) ও ত্রিস্টান স্টাবসের ১৪ রানের (১২ বলে) উপর ভরে করে ৭ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
মঙ্গলবার সেইন্ট জর্জ পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় ভারত। রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার যশস্বী জসওয়াল ও শুভমান গিল। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মা। ২০ বলে ২৯ করে দলকে ৫৫ রানে নিয়ে ফেরত যান ভার্মা।
এরপর স্বাগতিকদের বড় লক্ষ্য দিতে মারকুটে খেলতে থাকেন সূর্য ও রিংকু সিং। এই দুই ব্যাটার মিলে প্রোটিয়া বোলারদের তুলোধুনো করে দুর্দান্ত ফিফটি তুলে নেন। ৩৬ বলে ৫৬ (৩ ছক্কা ও ৫ চারে) করে তেবরিজ শামসির বলে মার্কো জানসেনের হাতে ক্যাচ ফেরেন সূর্য। তবে ৩৯ বলে ৬৮ (২ ছক্কা ও ৯ চারে) রান করে অপরাজিত থাকেন রিংকু।
তার সঙ্গে ১৯ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকটে ১৮০ রানে করে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন কোয়েটজি। অপরদিকে ভারতের হয়ে ৩৪ রানে ২ উইকেট শিকার করেন মুকেশ কুমার।