মাঠে ঢুকেই রেফারির মুখে সজোরে ঘুসি মেরেছিলেন তুরস্কের ফুটবল ক্লাব অ্যাঙ্কারাগুচুর সভাপতি। তার এহেন কাণ্ডের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তুরস্কের ফুটবল লিগ। এরপর ঘুসি মারা সেই সভাপতি ফারুক কোচাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, কোচা সেই রেফারিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
কোচা ছাড়া আরও দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন তুর্কির আদালত। পরে তাদের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন আইনমন্ত্রী ইয়ালম্যাজ তুঙ্ক। গত সোমবার তুরস্কের সুপার লিগে অ্যাঙ্কাগুচুর ম্যাচ ছিল কেকুর রিজেসপোরের। সেই ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়ে যায়। ৯৭ মিনিটের মাথায় গোল খায় অ্যাঙ্কারগুচু। তাতেই ক্ষেপে যান ক্লাবের সভাপতি ফারুক কোচা।
তিনি মাঠে ঢুকে ঘুসি মারেন রেফারি হালিল উমান্ট ম্যালের মুখে। পরে হালিল অভিযোগ করে বলেন, ‘ফারুক কোকা আমার বাম চোখের নিচে ঘুসি মেরেছে। যে কারণে আমি মাটিতে পড়ে গেলাম। আমি যখন মাটিতে ছিলাম, তখন অন্য লোকেরা আমাকে মুখে এবং আমার শরীরের অন্যান্য অংশে বহুবার লাথি মেরেছিল। কোচা আমাকে বলেছিল, ‘‘আমি তোমাকে শেষ করে দেবো।’’
এ ঘটনার পর তুরস্কের ফুটবল লিগের সভাপতি মেহমেত বুয়ুকেক্সি বলেন, ‘লিগের সব ম্যাচ আপাতত স্থগিত। এই ঘটনা তুরস্কের ফুটবলের জন্য খুব লজ্জার।’ ফুটবলার এবং ক্লাবের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয় মাঠের মধ্যেই। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় হালিলকে। তার হাড় ভেঙেছে বলেও জানা গেছে।
চোট পেয়েছেন সভাপতি কোচাও। তার চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে গ্রেফতার করা হবে তাকে। ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেফারিকে মারার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।