ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

পণ্য রপ্তানির ১২ বিলিয়ন ডলার দেশে আসেনি

সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি বা প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে ফেরেনি। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা ২৫ পয়সা ধরে যার পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বাবদ ৩ কোটি ডলার কম এসেছে। যদিও রপ্তানি বেড়েছিল ৩৪৮ কোটি ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানির পরিসংখ্যান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে।

তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় দেশে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার মানে ওই অর্থবছরের রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাক থেকে আসে।

ইপিবি’র হিসাবে, গত অর্থবছরে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৯৫ কোটি ডলার দেশে এসেছে। তার মানে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানির ১ হাজার ৪ কোটি ডলার গত জুন পর্যন্ত দেশে আসেনি। একইভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯১ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হলেও দেশে এসেছে ৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ১২২ কোটি ডলারের রপ্তানির মধ্যে দেশে ফিরেছে ১৩১ কোটি ডলার। আবার ১১০ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হলেও দেশে এসেছে ৭৩ কোটি ডলার।
ইপিবি’র তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে ৭৪৯ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৭৪০ কোটি ডলার দেশে এসেছে। অর্থাৎ সেবা খাতের রপ্তানির ৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আমরা আগেও বলেছি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবি’র হিসাবের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানির অর্থ যতটুকু আসে, বাংলাদেশ ব্যাংক ততটুকু হিসাব করে। অন্যদিকে ইপিবি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), শর্ট শিপমেন্ট, ডিসকাউন্টসহ বিভিন্ন হিসাব যুক্ত করে পরিসংখ্যান দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবি’র পরিসংখ্যানের পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি কাজ করছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, পণ্য রপ্তানি আয় অনেক ক্ষেত্রে পরেও আসে। পুনরায় রপ্তানির মতো ঘটনাও ঘটে।

নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা বেশ কয়েক মাস ধরে বলে আসছি, ইপিবি’র পণ্য রপ্তানির পরিসংখ্যান নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। অন্যদিকে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককেও অনেক দিন ধরে বলছি, ১২০ দিনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারা রপ্তানি আয় আনছে না তা প্রকাশ করতে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের কোনো তথ্য দেয়নি। ফলে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১০ বিলিয়ন ডলার কেন এল না সেটি ব্যাখ্যা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

পণ্য রপ্তানির ১২ বিলিয়ন ডলার দেশে আসেনি

আপডেট সময় ১২:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি বা প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে ফেরেনি। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা ২৫ পয়সা ধরে যার পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বাবদ ৩ কোটি ডলার কম এসেছে। যদিও রপ্তানি বেড়েছিল ৩৪৮ কোটি ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানির পরিসংখ্যান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে।

তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় দেশে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার মানে ওই অর্থবছরের রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাক থেকে আসে।

ইপিবি’র হিসাবে, গত অর্থবছরে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৯৫ কোটি ডলার দেশে এসেছে। তার মানে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানির ১ হাজার ৪ কোটি ডলার গত জুন পর্যন্ত দেশে আসেনি। একইভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯১ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হলেও দেশে এসেছে ৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ১২২ কোটি ডলারের রপ্তানির মধ্যে দেশে ফিরেছে ১৩১ কোটি ডলার। আবার ১১০ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হলেও দেশে এসেছে ৭৩ কোটি ডলার।
ইপিবি’র তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে ৭৪৯ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৭৪০ কোটি ডলার দেশে এসেছে। অর্থাৎ সেবা খাতের রপ্তানির ৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আমরা আগেও বলেছি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবি’র হিসাবের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানির অর্থ যতটুকু আসে, বাংলাদেশ ব্যাংক ততটুকু হিসাব করে। অন্যদিকে ইপিবি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), শর্ট শিপমেন্ট, ডিসকাউন্টসহ বিভিন্ন হিসাব যুক্ত করে পরিসংখ্যান দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবি’র পরিসংখ্যানের পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি কাজ করছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, পণ্য রপ্তানি আয় অনেক ক্ষেত্রে পরেও আসে। পুনরায় রপ্তানির মতো ঘটনাও ঘটে।

নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা বেশ কয়েক মাস ধরে বলে আসছি, ইপিবি’র পণ্য রপ্তানির পরিসংখ্যান নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। অন্যদিকে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককেও অনেক দিন ধরে বলছি, ১২০ দিনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারা রপ্তানি আয় আনছে না তা প্রকাশ করতে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের কোনো তথ্য দেয়নি। ফলে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১০ বিলিয়ন ডলার কেন এল না সেটি ব্যাখ্যা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।