ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও তাঁর ভাই রুপন ভূঁইয়ার সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁদের ৫২ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮–এর বিচারক বদরুল আলম ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘এ দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করেন। আর যারা মানি লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তারা শুধু আমাদের সম্পদ চুরি করছে না, তারা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতে চুরি করছে। তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।’

এর আগে গত বছরের ২২ এপ্রিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় এনামুল ও রুপনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রুপনদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাঁদের নামে ছয়টি মামলা হয়।

পরে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এনামুল ও রুপনদের পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই বাড়ি থেকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়। আর ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজপত্র পাওয়া যায়। সোনা পাওয়া যায় এক কেজি। এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের নামে আরও দুটি মামলা হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে এ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এনামুল ও রুপনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনও এনামুল ও রুপনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে। মামলায় এনামুলের বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর রুপনের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৩:৫০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও তাঁর ভাই রুপন ভূঁইয়ার সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁদের ৫২ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮–এর বিচারক বদরুল আলম ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘এ দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করেন। আর যারা মানি লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তারা শুধু আমাদের সম্পদ চুরি করছে না, তারা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতে চুরি করছে। তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।’

এর আগে গত বছরের ২২ এপ্রিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় এনামুল ও রুপনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রুপনদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাঁদের নামে ছয়টি মামলা হয়।

পরে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এনামুল ও রুপনদের পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই বাড়ি থেকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়। আর ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজপত্র পাওয়া যায়। সোনা পাওয়া যায় এক কেজি। এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের নামে আরও দুটি মামলা হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে এ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এনামুল ও রুপনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনও এনামুল ও রুপনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে। মামলায় এনামুলের বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর রুপনের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।