আজ প্রকাশিত হবে ২০২৩ সালের এইচ এসসি ও সমমানের পরিক্ষার ফলাফল। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দিবেন । তুলে দেওয়ার পর থেকে সারা দেশ ব্যাপি শির্ক্ষাথীরা তাদের ফলাফল গ্রহন করতে পারবেন ।
গত মঙ্গলবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। বলা হয়, রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফলের বিস্তারিত জানাবেন। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে পরে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
চলতি বছর আটটি শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা ১৭ আগস্ট শুরু হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হবে এবং তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এরপর বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা ফলাফল পাবেন। তারপর বেলা দুইটায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বা মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন। মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম ৩ অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
উদাহরণ—HSC DHA 123456 2023 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে পরীক্ষার ফলাফল। এ ছাড়া ওয়েবসাইটে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করা যাবে।
তা ছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট–এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল ডাউনলোড করে প্রকাশ করার জন্য ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনের মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। অবশ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা কিছুদিন পর শুরু হয়েছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি ছাড়া সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন।