একটা শোরুম উদ্বোধনে এসেছি। সন্ধ্যায় আবার ঢাকা ফিরব। ব্যস্ততা সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ। নতুন কোনো চলচ্চিত্রের শুটিং না করলেও প্রতিদিনই কোনো না কোনো কাজ করছি।
দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটেই যাচ্ছি। জীবন তো অনেক ছোট। এই ছোট জীবনটা কর্মমুখর করে রাখাটাই আমার কাছে সেরা অর্জন মনে হয়। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা আছে, তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি চান।
মনোনয়ন না পেলেও আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাব। আমার মনে হয়, সংসদে নারীদের কথা তুলে ধরতে নারীদেরই প্রয়োজন হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার উদাহরণ। তিনি সব সময় নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করেন।
আমার জায়গাটা নারীদের কাছে অন্য রকম। দেশের অনেক নারীই এখন উদাহরণ হিসেবে আমাকে টানেন। আমি যদি সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পারি, তাহলে সমাজের নারীদের আরো বেশি উৎসাহ দিতে পারব।
আগেই বলেছি, প্রধানমন্ত্রী সুযোগ দিলেই নির্বাচন করব। যদি সবুজ সংকেত পাই তাহলে অবশ্যই আমার জন্মস্থান থেকে মনোনয়ন চাইব।
বগুড়ায় আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা। সেখানকার মানুষ কী চান, কী পেলে তাঁরা খুশি হবেন, সবই আমার জানা।
ডিসেম্বরে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরিচালক ও প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলে পিছিয়েছি। জানুয়ারির ৭ তারিখ নির্বাচন, ডিসেম্বরজুড়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত থাকব। এর মধ্যে শুটিং অসম্ভব। ফেব্রুয়ারিতে শুটিং করব।
এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমি বরাবরই কাজের জায়গায় সৎ থাকার চেষ্টা করি। প্রযোজক-পরিচালক যদি শাকিব খানের সঙ্গে আমাকে নিতে চান, আপত্তি নেই। দর্শক খুশি হবেন, অনেক দিন পর ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’ ও ‘ঢালিউড কুইন’কে একসঙ্গে পাবেন।
দুটি ওয়েব ছবি চূড়ান্ত করে রেখেছি। সেগুলোরও ডিসেম্বরে শুটিংয়ের কথা ছিল। প্রযোজক-পরিচালককে বলেছি, নির্বাচনের আগে ক্যামেরা ওপেন করা উচিত হবে না। ইনডোর শুটিং হলেও কথা ছিল, আউটডোর হলে সামলানোটা কঠিন। কখনোই প্রযোজক-পরিচালকের ক্ষতি চাইনি। তাঁরাও সেটা বুঝে শুটিং পিছিয়েছেন।