বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ব্যবধান কত তা ফিফা র্যাংকিং দেখলেই বোঝা যায় । দুইদলের মধো ব্যবধান ১৫৬ । তবে র্যাংকিং, শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকলেও এসব নিয়ে ভাবছে না এশিয়ার শীর্ষ দলটি।
প্রতিপক্ষ দুর্বল হোক বা শক্তিশালী, সেসব মাথায় না নিয়ে মাঠে নিজেদের কাজেই বেশি মনোযোগী অস্ট্রেলিয়া।
দলটির ডিফেন্ডার আজিজ বেহিচ বলছিলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের নিয়েই ভাবছি এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জানি, আমরা মাঠে কী করতে পারি এবং নিজেদের থেকে কী আশা করতে পারি। উঁচু মানের ফুটবলে মনোযোগ আমাদের এবং প্রতিপক্ষ হোক র্যাংকিংয়ের ওপরের দিকের কিংবা নিচের দিকের দল।
কারণ এটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এ ধরনের ম্যাচ সব সময় আলাদা হয়ে থাকে। আমরা নিজেদের ফেভারিট বা আন্ডারডগ মনে করে কখনো মাঠে নামি না।’ বিশ্বকাপের গত পাঁচ আসরেই খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
সর্বশেষ কাতারে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়াকু নৈপুণ্য দেখিয়েছিল সকারুরা। দুই দিন পরেই আরেকটি বিশ্বকাপ মিশনে নামতে যাচ্ছে র্যাংকিংয়ে ২৭-এ থাকা দলটি। সেই লড়াইয়ে প্রথম প্রতিপক্ষ র্যাংকিংয়ের ১৮৩তম দল বাংলাদেশ। দুই দিন আগে মেলবোর্নে পৌঁছে গতকাল প্রথমবার অনুশীলন করেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় সেখানে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জও আছে জামাল ভুঁইয়াদের।
আট বছর আগে পার্থে একই মঞ্চে ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছিল বাংলাদেশের। ৫-০ গোলে হারের সেই ম্যাচে বাংলাদেশের অর্ধেই খেলা হয়েছিল পুরোটা সময়। সেটা মাথায় রেখেই অচেনা কন্ডিশনের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী আক্রমণভাগের সামনে বাংলাদেশের লড়াইয়ের ধরন কেমন হবে সেটা নিয়েই আপাতত কাজ করছে বাংলাদেশ দল।
গতকাল অনুশীলনের পর আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, ‘আমরা রক্ষণ কিভাবে সামলাব, সেটা নিয়ে কাজ করেছি। অস্বীকার করার কিছু নেই যে ওরা (অস্ট্রেলিয়া) বিশ্বের অন্যতম দল। ওরা অনেক বেশি আক্রমণ করবে। সেগুলো যতটা নষ্ট করা যায় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে বেশি।’