ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কার ব্যর্থতার কারণ বের করলেন জয়াবর্ধনে

  • ক্রীড়া ডেক্স
  • আপডেট সময় ১২:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৫০০ Time View

এশিয়াতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটি এবার বিশ্বকাপে এতটা খারাপ করবে তা হয়তো কেউ ভাবতে পারেনি। দশ দলের বিশ্বকাপে শীর্ষ আটে জায়গা হয়নি তাদের। ফলে আগামী ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা খেলতে পারবে না। এমন ঘটনায় দলটির পরামর্শক কোচ সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে নিজ দেশের পিচের সমালোচনা করেছেন।

জয়াবর্ধনে তার সমালোচনায় বলেন, এমন সব পিচে অনুশীলন করা হয়েছে যার সঙ্গে ভারতের পিচের কোনো মিল ছিল না। ভারতে খেলা হয়েছে ফ্লাট পিচে। অথচ আমরা এমন পিচে অনুশীলন করেছি যেখানে ব্যাটাররা পাওয়ার হিট করার সুযোগ পায়নি, আবার কিভাবে পরিস্থিতি অনুসারে বোলিং করতে হবে স্পিনাররা তা শিখতে পারেনি। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা নবম হয়েছে। ব্যাট হাতে মোটেও তারা সফল ছিল না।

ফ্লাট পিচে রানের দরকার। অথচ বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের পাঁচটিতে তারা আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে মোটেও ভালো রান জমা করতে পারেনি। একবারই তারা ২৮০ রান করেছে। অথচ একাধিক দল অহরহ তিন শতাধিক রানের ইনিংস খেলেছে।

জয়াবর্ধনে বলেন, আমরা যখন ভারতে গিয়েছিলাম তখন প্রথমে উইকেট পরীক্ষা করি। আমাদেরকে তখন হাই স্কোরিং ম্যাচ খেলার চেষ্টা করতে হয়েছিল। এ ব্যাপারে ব্যাটারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল। এটা এমন একটা বিষয় ছিল, যে ব্যাপারে তারা অভ্যস্ত ছিল না। শ্রীলঙ্কায় আমরা যে সব পিচে খেলে থাকি সে সব পিচে এমন ধরণের ব্যাটিং করা যায় না। জয়াবর্ধনে আরো বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা ধীর গতির উইকেটে খেলে থাকি। সুতরাং ভালো উইকেটে ব্যাটাররা শট নির্বাচনে আত্মবিশ্বাসী হতে পারেনি। কেননা তার এ ব্যাপারে অভ্যস্ত নয়।

শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের মধ্যে পাথুমি নিশাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা টপ অর্ডারে ভালো করেছেন। বোলিংয়ে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। ২১ উইকেট নিয়েছেন। তবে শ্রীলঙ্কার অন্য বোলাদের অবস্থা নাজুক। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী কাসুন রাজিথা। তার উইকেট সংখ্যা ৮। এছাড়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও মাহিশ থিকসানা প্রত্যেকে ছয়টি করে উইকেট নিয়েছেন।

বিশেষ করে থিকসানা সাফল্য না পাওয়ায় শ্রীলঙ্কাকে বড় খেসারত দিতে হয়েছে। এ জন্যও জয়াবর্ধনে পিচকে দোষারোপ করেছেন। বলেছেন, শ্রীলঙ্কার পিচ স্পিন সহায়ক। এখানে বল করতে স্পিনারদের অতিরিক্ত কিছু করতে হয় না। বিশ্বকাপে যে সব স্পিনার সফল হয়েছেন তাদের মধ্যে বিশেষ কিছু রয়েছে।

যেমনটা মিচেল স্যান্টনার ও রাভিন্দ্র জাদেজা। জয়াবর্ধনে আরো বলেন, শ্রীলঙ্কায় আমরা যে সব ভালো উইকেটে খেলি তার বেশির ভাগের ক্ষেত্রে বল নিচু হয়ে আসে। ফলে স্পিনারদের বেশি কিছু করতে হয় না। অথচ ভারতের মাটিতে ওভার স্পিন করতে হয়েছে। এটাই আমাদের স্পিনারদের ব্যর্থতার কারণ।

শ্রীলঙ্কার ব্যর্থতার কারণ বের করলেন জয়াবর্ধনে

আপডেট সময় ১২:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

এশিয়াতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটি এবার বিশ্বকাপে এতটা খারাপ করবে তা হয়তো কেউ ভাবতে পারেনি। দশ দলের বিশ্বকাপে শীর্ষ আটে জায়গা হয়নি তাদের। ফলে আগামী ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা খেলতে পারবে না। এমন ঘটনায় দলটির পরামর্শক কোচ সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে নিজ দেশের পিচের সমালোচনা করেছেন।

জয়াবর্ধনে তার সমালোচনায় বলেন, এমন সব পিচে অনুশীলন করা হয়েছে যার সঙ্গে ভারতের পিচের কোনো মিল ছিল না। ভারতে খেলা হয়েছে ফ্লাট পিচে। অথচ আমরা এমন পিচে অনুশীলন করেছি যেখানে ব্যাটাররা পাওয়ার হিট করার সুযোগ পায়নি, আবার কিভাবে পরিস্থিতি অনুসারে বোলিং করতে হবে স্পিনাররা তা শিখতে পারেনি। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা নবম হয়েছে। ব্যাট হাতে মোটেও তারা সফল ছিল না।

ফ্লাট পিচে রানের দরকার। অথচ বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের পাঁচটিতে তারা আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে মোটেও ভালো রান জমা করতে পারেনি। একবারই তারা ২৮০ রান করেছে। অথচ একাধিক দল অহরহ তিন শতাধিক রানের ইনিংস খেলেছে।

জয়াবর্ধনে বলেন, আমরা যখন ভারতে গিয়েছিলাম তখন প্রথমে উইকেট পরীক্ষা করি। আমাদেরকে তখন হাই স্কোরিং ম্যাচ খেলার চেষ্টা করতে হয়েছিল। এ ব্যাপারে ব্যাটারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল। এটা এমন একটা বিষয় ছিল, যে ব্যাপারে তারা অভ্যস্ত ছিল না। শ্রীলঙ্কায় আমরা যে সব পিচে খেলে থাকি সে সব পিচে এমন ধরণের ব্যাটিং করা যায় না। জয়াবর্ধনে আরো বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা ধীর গতির উইকেটে খেলে থাকি। সুতরাং ভালো উইকেটে ব্যাটাররা শট নির্বাচনে আত্মবিশ্বাসী হতে পারেনি। কেননা তার এ ব্যাপারে অভ্যস্ত নয়।

শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের মধ্যে পাথুমি নিশাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা টপ অর্ডারে ভালো করেছেন। বোলিংয়ে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। ২১ উইকেট নিয়েছেন। তবে শ্রীলঙ্কার অন্য বোলাদের অবস্থা নাজুক। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী কাসুন রাজিথা। তার উইকেট সংখ্যা ৮। এছাড়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও মাহিশ থিকসানা প্রত্যেকে ছয়টি করে উইকেট নিয়েছেন।

বিশেষ করে থিকসানা সাফল্য না পাওয়ায় শ্রীলঙ্কাকে বড় খেসারত দিতে হয়েছে। এ জন্যও জয়াবর্ধনে পিচকে দোষারোপ করেছেন। বলেছেন, শ্রীলঙ্কার পিচ স্পিন সহায়ক। এখানে বল করতে স্পিনারদের অতিরিক্ত কিছু করতে হয় না। বিশ্বকাপে যে সব স্পিনার সফল হয়েছেন তাদের মধ্যে বিশেষ কিছু রয়েছে।

যেমনটা মিচেল স্যান্টনার ও রাভিন্দ্র জাদেজা। জয়াবর্ধনে আরো বলেন, শ্রীলঙ্কায় আমরা যে সব ভালো উইকেটে খেলি তার বেশির ভাগের ক্ষেত্রে বল নিচু হয়ে আসে। ফলে স্পিনারদের বেশি কিছু করতে হয় না। অথচ ভারতের মাটিতে ওভার স্পিন করতে হয়েছে। এটাই আমাদের স্পিনারদের ব্যর্থতার কারণ।