বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগুম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক । তবে শেখ হাসিনা এ আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে । বাংলদেশের ডাক্তাররা বলেছেন বিদেশে চিকিৎসা না পেলে বেগুম জিয়ার পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে প্রবাহিত হবে ।
৭৮ বছর বয়স্ক খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র প্রধান। তার বিরুদ্ধে ১৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ রয়েছে, যদিও ২০২০ সাল থেকে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া মূলত ‘ব্যাটলিং বেগমস’ নামে পরিচিত এবং তাদের মধ্যেকার তীব্র বিরোধই গত চার দশক ধরে ১৭ কোটি মানুষের দেশটির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তিকে ‘রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হবে। এমতাবস্থায় আমি আপনার সরকারের কাছে তার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য আবেদন করছি। এতে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে গিয়ে তার জরুরি এবং বিশেষায়িত চিকিৎসা গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।
গত ১লা নভেম্বর ওই চিঠিটি পাঠানো হয় । বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ রয়েছে। গত মাসে তিন মার্কিন চিকিৎসক তার সার্জারি সম্পন্ন করেন। কিন্তু তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জার্মানিতে নিয়ে যেতে পরিবারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে বিরোধী দলগুলো একটানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এমন সময়ে খালেদা জিয়ার মৃত্যু দেশটিতে আরও বড় ধরনের বিক্ষোভের জন্ম দিতে পারে। গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মধ্যে রয়েছেন। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে আবারো ক্ষমতায় ফেরার আশা করছে বিএনপি। ওই চিঠিতে ভলকার তুর্ক বাংলাদেশ সরকারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেপ্তারসহ সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন সকল স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।