তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে জনগণের উন্নয়ন করতে আর বিএনপি ক্ষমতায় আসে তা বন্ধ করতে। আওয়ামী লীগের চালু করা ১০ হাজার ক্লিনিক ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দিয়েছিল।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সিংড়া উপজেলার ১২ নম্বর রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন মাঠে সরকারি ভাতা সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে প্রতিবন্ধীদের জন্য সুরক্ষা আইন করেছেন। তাদের যে অধিকার তা তিনি নিশ্চিত করেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সারাবিশ্বে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রতিবন্ধীদের কম্পিউটার শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে।
অনেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন অফিসে চাকরি করছে। এখন কোনো প্রতিবন্ধী পরিবারের বোঝা নয় তারা এখন পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছে। আগে একজন প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নিলে মা-বাবা লজ্জা মনে করতেন। প্রধানমন্ত্রীর তাদের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৮ সালে প্রতিটি গ্রামের ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের চিন্তা করেন। ২০০১ সালে ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০১ সালে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা ক্ষমতায় আসতে পারলাম না।
বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে ১০ হাজার ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সারাদেশে ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। যেখানে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের জন্য ২৭ রকমের ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৪ বছর আগে সিংড়ায় বিদ্যুৎ ছিল না, সার ছিল না। কোনো উন্নয়ন ছিল না। তারা ভোট পেত কিন্তু উন্নয়ন করতো না। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি। আপনারা আমাকে নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলে আজ আমি এমপি-মন্ত্রী হয়েছি। আমি আপনাদের চাকর, আপনাদের টেক্সের টাকায় আমার বেতন হয়। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে আপনাদের মূল্যবান ভোট নৌকায় দিয়ে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখুন।
১২ নম্বর রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. ওহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, সহ-সভাপতি মো. খাদেমুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন আবু, রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার প্রমুখ।