একদিকে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ অন্যদিকে রাশিয়া-সৌদি আরবের জ্বালানি তেল উৎপাদন হ্রাস। উভয় কারণেই জ্বালানি তেলের বিশ্ববাজারে সরবরাহ উদ্বেগ রয়েছে। ফলে দাম ঊর্ধ্বমুখিতায় রয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়া-সৌদি আরব ঘোষণা দিয়েছে স্বেচ্ছায় তেল উৎপাদন হ্রাস অব্যাহত রাখবে দুই দেশ।
এ নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হওয়ার পর বাজার ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে চলতি বছরের শুরুতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন হ্রাসের যে পদক্ষেপ নিয়েছিল সৌদি আরব ও রাশিয়া, তা সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। গতকাল সোমবার পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিশ্বের শীর্ষ দুই তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশ। জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসেরও নেতৃত্বে রয়েছে এই দুটি দেশ।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ।
ফলে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম কয়েক মাসে হুহু করে বাড়ছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়ামের দাম। কিন্তু একই সঙ্গে ডলারের দামও বাড়তে থাকায় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ জ্বালানি তেল ক্রয় কমিয়ে দেয়। ফলে তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয় এবং লোকসানের শিকার হতে থাকে তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশগুলো। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত জানায় রাশিয়া।