গত মাসের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উপর ফিলিস্থিনি স্বাধীনতাকামী হামাস এক হামল চালায় । এবং অনেক লোক কে জিম্মি করে । তারপর থেকে ইসরায়েলের সৈন বাহিনী একের পর এক হামল চালিয়ে আচ্ছে ফিলিস্থিনের গাজা উপত্যকায় । বড়বড় দালান কোটা সহ বিভিন্ন সম্পদ ধ্বংস করছে । প্রতিনীয়ত ঝরে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ । এ যুদ্ধকে প্রতিহিত করতে বৈঠক করবে জাতিসংঘ। সিকিউরিটি কাউন্সিল রিপোর্ট (এসসিআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং চীনের অনুরোধে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
কাউন্সিলের সদস্যরা বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের ১০ জন নির্বাচিত সদস্যের পেশ করা ইসরায়েল ও গাজা সংক্রান্ত একটি নতুন প্রস্তাবনা বিবেচনা করতে পারে বলে জানা গেছে। যুদ্ধবিরতি বা মানবিক বিরতির আহ্বান জানানো চারটি প্রস্তাবে ইতোমধ্যেই কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্যরা ভেটো দিয়েছেন। গত ২৫ অক্টোবর দুটি প্রস্তাবনা পাস করতে ব্যর্থ হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। অবরুদ্ধ এলাকাটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৭৭০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। গত প্রায় এক মাস ধরে গাজায় বোমা হামলা ছালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না আবাসিক ভবন, শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল ও স্কুল। এতে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ লাখ গাজাবাসীর মধ্যে ১৫ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা পরিচালনা করছে। তবে অনেকেরই দাবি, ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। ফলে বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি অনেক বেশি।
গত মাসের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী সংগঠন হামাস। তারপরেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে বোমা মেরে নির্বিচারে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে সেখানকার মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ফলে সেখানে যুদ্ধবিরতি জরুরি হয়ে পড়েছে।