বায়ুদূষনের শীর্ষ শহর গুলোর মধ্যে দিল্লির অবস্থন প্রথম সারিতে যার কারণে গত ৪-৫ নভেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছিলো । তবে দূষনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আবারো ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুল গুলো বন্ধ ঘোষনা করা হয় ।
তবে ৬-১২ বছর বয়সীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। তবে চাইলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাস নিতে পারবে। দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশি বলেছেন, ‘দূষণের মাত্রা অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় দিল্লির প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ৬-১২ গ্রেডের স্কুলগুলোকে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’ দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশি এ বক্তব্য এক্সে (টুইটার) পোস্ট দিয়েছেন।
এ দিকে ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, কয়েকটি শহরের বাতাস বিষিয়ে উঠছে। শ্বাস নেওয়াই দায় হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহ ধরেই ভয়াবহ পরিস্থিতি দিল্লির। ছয় দিন ধরে রাজধানীর বাতাসের গুণমান ‘অত্যন্ত ভয়ংকর’ মাত্রায় রয়েছে। তবে শুধু দিল্লিই নয়, দূষণে পাল্লা দিচ্ছে দেশটির বাণিজ্যনগরী মুম্বাই ও কলকাতাও। বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী আজ রোববার বিশ্বের সর্বাধিক (সকাল ১০টার হিসাবে) দূষিত শহরগুলোর তালিকায় প্রথমে আছে দিল্লি। তালিকায় আছে মুম্বাই ও কলকাতাও।
আইকিউএয়ার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান। তারা নিয়মিত দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
একিউআই প্রকাশিত তথ্যেই দেখা গেছে, আজ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষিত শহর দিল্লি। সেখানকার বাতাসের মান বা একিউআই হলো ৪৮৩। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ৩৭১। এরপরই তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা, স্কোর ২০৬। চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা, পঞ্চমে করাচি, ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মুম্বাই।