ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাগনে হত্যায় মামার মৃত্যুদণ্ড

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভাগনে হত্যায় মামা আব্দুল জলিল সরকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ইসমাইল হোসেন জানান, উপজেলার ঘুগরী গ্রামের দলু সরকারের মেয়ে শিখা বেগমের সঙ্গে মো. রইছ উদ্দিনের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তাদের ঘরে মো. সাইদুর রহমান রানা নামে এক ছেলে ছিল। পরে শিখা বেগম বিয়ে করে বর্তমান স্বামীর বাড়ি যশোর ঝিকরগাছা চলে যান এবং রইছ উদ্দিনও অন্য জায়গায় বিয়ে করেন। তাদের সন্তান সাইদুর রহমান রানা নানা-নানির বাড়িতে থাকতো। তারা নানা দুলু সরকার তাকে চারকাঠা জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়।

এরপর রানার সঙ্গে তার মামা আব্দুল জলিল সরকারের শত্রুতা শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় আব্দুল জলিল তার বাবা-মাকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য মারধর করেন। একই দিন বাজার থেকে ফেরার পথে আবদুল জলিল রানাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে রানার বাবা মো. রইছ উদ্দিন আব্দুল জলিল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ ১৬ সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

ভাগনে হত্যায় মামার মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৬:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভাগনে হত্যায় মামা আব্দুল জলিল সরকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ইসমাইল হোসেন জানান, উপজেলার ঘুগরী গ্রামের দলু সরকারের মেয়ে শিখা বেগমের সঙ্গে মো. রইছ উদ্দিনের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তাদের ঘরে মো. সাইদুর রহমান রানা নামে এক ছেলে ছিল। পরে শিখা বেগম বিয়ে করে বর্তমান স্বামীর বাড়ি যশোর ঝিকরগাছা চলে যান এবং রইছ উদ্দিনও অন্য জায়গায় বিয়ে করেন। তাদের সন্তান সাইদুর রহমান রানা নানা-নানির বাড়িতে থাকতো। তারা নানা দুলু সরকার তাকে চারকাঠা জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়।

এরপর রানার সঙ্গে তার মামা আব্দুল জলিল সরকারের শত্রুতা শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় আব্দুল জলিল তার বাবা-মাকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য মারধর করেন। একই দিন বাজার থেকে ফেরার পথে আবদুল জলিল রানাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে রানার বাবা মো. রইছ উদ্দিন আব্দুল জলিল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ ১৬ সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।