শনিবার (২৮ অক্টোবর) দেশটির রাজধানীতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এতে বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ মানুষ।দেশটির পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ ঘাটতির কথা জানিয়েছে। ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, দুর্গাপূজার আগে সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ রুপি। কিন্তু তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ রুপিতে, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ রুপিতে।
দিল্লির ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র পেঁয়াজের মূল উৎপাদনকেন্দ্র। কিন্তু সেখান থেকে এবার সময় মতো পেঁয়াজ আসছে না। তাই সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে দিল্লি এনসিআর-এ পেঁয়াজের দাম কয়েকদিনের মধ্যে ৪০ রুপি থেকে বেড়ে ৬০ রুপি হয়েছে।
দিল্লির গাজিপুর সবজি বাজারের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, পেঁয়াজের ঘাটতির কারণে দাম বেড়েছে। আজ প্রতি পাঁচ কেজি পেঁয়াজ ৩৫০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু গতকাল ছিল ৩০০ রুপি। এর আগে ছিল ২০০ রুপি। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ১৬০ থেকে ২০০ রুপির মধ্যে। নয়ডার খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী গৌরব বলেন, পেঁয়াজের আমদানি খুবই কম। যার জেরে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এভাবে চলতে থাকলে পেঁয়াজের দাম ১৫০ রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে। গৌরব বলেন, পরিবহণ খরচ বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের খুচরো দামেও প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, শিগগিরই পেঁয়াজের দাম কমবে না। এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ২০০ রুপি ছুঁতে পারে।
জানা গেছে, আবহাওয়াজনিত কারণে খরিফ পেঁয়াজের বপন দেরিতে হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁয়াজের ফসল। এছাড়া তাজা খরিফ পেঁয়াজ আসতেও দেরি হচ্ছে। অন্যদিকে, রবি পেঁয়াজের মজুতও শেষ হয়ে যাচ্ছে। খরিফ পেঁয়াজের দেরি হওয়ার কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ খুবই খারাপ। তার জন্যই পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারেই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।