রাজধানীর আরামবাগ মোড় এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর আরামবাগ-নটর ডেম কলেজ এলাকায় আজ শনিবার মহাসমাবেশ করার পূর্বঘোষণা রয়েছে জামায়াতের।
ঘোষণা অনুযায়ী, আজ সকাল থেকেই আরামবাগ মোড় এলাকায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেলা ১১টার দিকে আরামবাগ মোড়ে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বড় জমায়েত দেখা যায়। তাঁরা সেখানে জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
তবে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের আরামবাগ মোড় পার হতে দিচ্ছে না পুলিশ। আরামবাগ মোড়ে পুলিশ সকালেই ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। পুলিশ আরেকটি ব্যারিকেড দিয়েছে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে নটর ডেম কলেজের দিকে যাওয়ার পথে।
আরামবাগ-নটর ডেম কলেজ এলাকার সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সাধারণ লোকজনকেও এই পথে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। আরামবাগ মোড়ে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড বরাবর অবস্থান নিয়েছে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। সেখানে পুলিশেরও বিপুলসংখ্যক সদস্য রয়েছে। এলাকাটিতে সকালেই জলকামান ও দাঙ্গা মোকাবিলার গাড়ি (রায়ট কার) এনে রেখেছে পুলিশ। এ ছাড়া জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সমাগমের পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাটিতে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান আজ সকাল ১০টার আরামবাগ এলাকায় এসে বলেন, জামায়াতকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই জামায়াতকে মহাসমাবেশ করতে দেওয়া দেবে না পুলিশ। জামায়াত মহাসমাবেশ করার চেষ্টা করলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। জামায়াত বলেছে, তারা ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে। জামায়াতের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার ভাষ্য, তাঁরা মহাসমাবেশের মৌখিক অনুমতি পেয়েছেন।
তবে জামায়াতকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার কথা এখন পর্যন্ত জানায়নি পুলিশ। দুই দিন ধরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে এসেছেন, জামায়াতকে ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।